সারা গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকার অসংখ্য দাগ। মস্তিষ্কেও ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হয়ে চলেছে।
এই অবস্থায় বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে দিন কয়েক আগেই ভর্তি হয়েছে তিন মাসের এক শিশুকন্যা। নাম আফরিন। এবং সন্তানের এ হেন পরিণতির জন্য মা, রেশমা ভানু আঙুল তুলেছেন স্বয়ং আফরিনের বাবার দিকে। অভিযোগ, ছেলের পরিবর্তে মেয়ে জন্মানোয় শিশুটির উপর অত্যাচার চালাত তার বাবা, উমর ফারুক। পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছে।
সম্প্রতি ফলক নামে দু’বছরের এক শিশুকন্যার উপর একই রকম অত্যাচার করা হয়। হাসপাতালে দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর গত মার্চেই মৃত্যু হয়েছে তার।
রেশমার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তার উপর নানা রকম অত্যাচার চালাত ফারুক। অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি রেশমার পরিবারও। কিন্তু আফরিনের জন্মের পর তা চরমে পৌছয়। ফারুক ছেলে চেয়েছিল। কিন্তু মেয়ে হওয়ার তার উপরই নির্যাতন চালাতে থাকে ফারুক। এমনকী গত সপ্তাহে আফরিনকে হত্যারও চেষ্টা করে সে। রেশমা বলেন, “রাতে জেগে উঠতেই দেখলাম, আফরিনের গায়ে কম্বল জড়ানো। মুখেও কাপড় গোঁজা। এবং তার উপর একটা বালিশ চাপা দেওয়া।” তিনি আরও জানান, এর পর আফরিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে চাইছিলেন না ফারুক এবং তার আত্মীয়রা।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আফরিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মস্তিষ্কেও রয়েছে গুরুতর আঘাত। মাঝেমাঝেই তড়কাও হচ্ছে। তাঁরা আরও জানান, আফরিনের সারা দেহের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য দাগ। রেশমার দাবি, ফারুক প্রায়ই সিগারেটের ছ্যাঁকা দিত আফরিনকে। তারই দাগ রয়েছে আফরিনের শরীরে। এই ব্যাপারে কিছু না বললেও, চিকিৎসকেরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, নিয়মিত আঘাত করা হত আফরিনকে। এও বোঝা গিয়েছে যে সম্প্রতি তাকে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন ভেন্টিলেটরে রয়েছে সে। |