রবিবারই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থার সমস্যায় বিঘ্নিত হয়েছিল মেট্রো চলাচল। সোমবার এক ব্যক্তি লাইনে ‘ঝাঁপ’ দেওয়ায় সপ্তাহের প্রথম দিন দীর্ঘক্ষণের জন্য ব্যাহত হল মেট্রো। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির নাম নির্মাল্য সিংহরায় (৫০)। বাড়ি শ্যামপুকুর স্ট্রিটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি। তবে এই ঘটনার পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে মেট্রো দাবি করলেও যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, পরিষেবা বহু বার ব্যাহত হয়েছে।
পুলিশ ও মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে বেলগাছিয়া স্টেশনে কবি সুভাষগামী ট্রেনের সামনে ‘ঝাঁপ’ দেন নির্মাল্যবাবু। পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই ‘ঝাঁপ’ দেন তিনি। তবে ট্রেন তাঁকে ধাক্কা মারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে পুলিশ জেনেছে, ট্রেনটি স্টেশনে ঢোকার কয়েক মুহূর্ত আগে ‘ঝাঁপ’ দিয়ে নির্মাল্যবাবু লাইনের ফাঁকে পড়ে যান। তাঁর মাথা ফেটে প্রচুর রক্তপাত হয়।
মেট্রোর তরফে জানা গিয়েছে, কেউ ‘ঝাঁপ’ দিয়েছেন বুঝতে পেরে আপৎকালীন ব্রেক কষেন চালক। কবি সুভাষ থেকে সেন্ট্রাল স্টেশন পর্যন্ত দু’টি লাইনেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সাধারণ) প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “যে ট্রেনের তলায় ওই ব্যক্তি পড়েছিলেন, সেটিকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়ার পরেই উদ্ধার করা হয় নির্মাল্যবাবুকে। তাঁকে সরাতে গিয়ে ১০টা ২৩ মিনিটে লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়। ১০টা ২৬ মিনিটে নির্মাল্যবাবুকে সরানো হয়। ১০টা ৩০ মিনিটে ফের লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।” ১০টা ৩৪ মিনিটে কবি সুভাষ থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। ওই সময়ে কবি সুভাষগামী দু’টি ট্রেন সেন্ট্রাল (ওয়াই সাইডিং) থেকে ঘুরিয়ে দমদমের দিকে পাঠানো হয়। সাড়ে ১১টার পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান প্রত্যুষবাবু।
তবে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকেই দু’টি ট্রেনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়তে শুরু করে। শুধু তা-ই নয়, ঠিক মতো ঘোষণাও হয়নি বলেও অভিযোগ যাত্রীদের একাংশের। এ দিন স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থাতেও ত্রুটি ছিল বলে অভিযোগ তাঁদের।
অন্য দিকে, এ দিনই সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর জেরে পৌনে আটটা নাগাদ কবি সুভাষ স্টেশনের কাছে আপ লাইনে একটি গাছ পড়ে যায়। ফলে মহানায়ক উত্তমকুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত অংশে মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। |