শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রামে চড়ার মজা পেতে পেতেই কর্পোরেট মিটিং সেরে ফেলতে চান? অথবা পথের ক্লান্তি কাটাতে ট্রাম-সফরেই কফির পেয়ালায় চুমুক? দৌড়ঝাঁপে খিদে পেয়ে গেলে ট্রামেই পেটপুজো?
সব ব্যবস্থাই করতে চলেছেন রাজ্যের নতুন সরকারের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। পুজোর আগেই কলকাতায় অন্তত চারটি বাতানুকূল ট্রাম নামাতে চাইছেন তিনি। সেগুলির বিশেষত্ব হল, ওই সব ট্রামের দু’টি কামরা ট্রেনের মতো ভেস্টিবিউলের মাধ্যমে জোড়া থাকবে। এই পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য যে-চারটি ট্রামকে নতুন ভাবে গড়ে তোলা হবে, তারই একটিতে থাকবে রেস্তোরাঁ। অন্য একটি ট্রামে থাকবে কাফেটারিয়া। এবং বাকি দু’টিতে ব্যাঙ্কোয়েট ব্যবস্থা থাকবে। মন্ত্রী বলেন, “যে-সব ট্রামে কাফেটারিয়া ও রেস্তোরাঁ থাকবে, তাতে সাধারণ মানুষ উঠতে পারবেন।” তবে ব্যাঙ্কোয়েট-ট্রামের ব্যাপারটা আলাদা। ওই ট্রামে চড়তে চাইলে বা তাতে ব্যবসায়িক বৈঠক সেরে ফেলতে আগ্রহী হলে ভাড়া নিতে হবে আস্ত ট্রামটাকেই। “সেই চলন্ত ট্রামেই সেরে ফেলা যাবে ছোটখাটো অফিস-মিটিং। মূলত কর্পোরেট সংস্থাগুলির জন্যই এই ব্যবস্থা,” বললেন পরিবহণমন্ত্রী। বাতানুকূল ট্রামের পরিকল্পনা কেন? পরিবহণমন্ত্রী জানান, রুগ্ণ ট্রাম সংস্থার লোকসান কমাতে নতুন পথের সন্ধানে রয়েছে পরিবহণ দফতর। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে এই ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে। বাতানুকূল ট্রামের সঙ্গে সঙ্গে ওয়াটার-ট্যাক্সি চালানোরও পরিকল্পনা রয়েছে মদনবাবুর। তিনি জানান, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির বিভিন্ন ঘাটে যাবে ওই জল-ট্যাক্সি।
প্রত্যন্ত গ্রামেও পরিবহণ পরিষেবা পৌঁছে দিতে চায় নতুন সরকার। সেই জন্য সব ব্লক থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা সদর পর্যন্ত বাস চালানোর পরিকল্পনা হয়েছে। এতে প্রায় দু ’হাজার বাস লাগবে। এত বাস আসবে কোথা থেকে? পরিবহণমন্ত্রী সোমবার মহাকরণে বলেন, “বুধবার সব পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সেখানেই আলোচনা হবে।” |