রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের লোকসানে চলা বিভিন্ন শাখা বন্ধ করা বা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে কেন্দ্র। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাগুলির জন্যও সে ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে বলে সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিষেবা সচিব ডি কে মিত্তল।
সিআইআইয়ের এক সভায় মিত্তল বলেন, ব্যবসায়িক দিক থেকে লাভজনক করে তুলতে সংস্থাগুলি ঢেলে সাজা হবে। তার অঙ্গ হিসেবেই এই উদ্যোগ। শাখা চালু রেখে অনেক ক্ষেত্রে কর্মী কাটছাঁট করার দাওয়াইও কমাতে পারে লোকসানের বোঝা। মিত্তল সাফ জানিয়ে দেন, যে কোনও শাখা চালু রাখার লক্ষ্য একটিই, মুনাফা আয় করা। দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার সংখ্যা ৮৭ হাজার। চড়া সুদের কারণে শিল্পোদ্যোগীদের ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতাও কমেছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঢিমেতালে চলতে থাকা দেশীয় অর্থনীতি এবং বিশ্ব বাজারে নতুন করে ঘনিয়ে আসা মন্দার মেঘ। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের আর্থিক অবস্থা সঙ্গীন। আর, এটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের বোঝা। ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসেবে সমস্ত ব্যাঙ্ক মিলিয়ে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বোঝা আগের বছরের ৬৮, ৫৯৭.০৯ কোটি টাকা থেকে ৫১% বেড়ে ছুঁয়েছে ১.০৩ লক্ষ কোটি টাকা। |