২০০৮ সালের পর আরও এক বার কর্মী সঙ্কোচনের পথে হাঁটতে পারে জাপানের ভোগ্যপণ্য বহুজাতিক সোনি। রয়টার্স জানাচ্ছে, সংস্থাকে লাভের মুখ দেখাতে সারা বিশ্বে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে পারে সংস্থা। পাশাপাশি, চেয়ারম্যান হোয়ার্ড স্টিংগার-সহ সংস্থার সাত এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টরের বোনাসও ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করতে পারে সোনি। তবে, এ নিয়ে এখনই মুখ খুলতে রাজি হয়নি সংস্থা। যদিও সংবাদসংস্থার খবর অস্বীকার করে সংবাদপত্রের অফিসে (আনন্দবাজার পত্রিকা) ই-মেল মারফত ভারতে কোনও কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভবনা নেই বলে সোমবার দাবি জানিয়েছে সোনি। বরং এ দেশে সংস্থার ব্যবসা বৃদ্ধির পথে। সে ক্ষেত্রে মানবসম্পদ বাড়ানোর উপরেই জোর দেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা।
মন্দার পর থেকেই গত চার বছরে লাভের মুখ দেখেনি ওয়াকম্যানের জনক বলে বিশ্ববন্দিত সংস্থাটি। ওয়াকম্যানের ‘ম্যাজিক’ আরও এক বার দেখাতে না-পেরে পিছিয়ে পড়েছে অ্যাপল, স্যামসাং-এর মতো সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতাতেও। এর মধ্যে গত মাসেই নয়া চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার নিযুক্ত হয়েছেন কাজুও হিরাই। তাঁর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সোনি। আগামী বৃস্পতিবারই সংস্থা ঢেলে সাজতে নয়া পদক্ষেপের কথা জানাতে পারেন হিরাই।
গত মাসে অলাভজনক রাসায়নিক পণ্য ব্যবসা বিক্রির কথা জানায় সোনি। সেখানে কর্মী সংখ্যা প্রায় ৩,০০০। মোবাইল ডিস্প্লে ব্যবসাটিও তোশিবা ও হিতাচির ছোট এলসিডি প্যানেল ব্যবসার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। সেখানে কর্মী প্রায় ২,০০০। তবে কোন কোন দেশে কর্মী ছাঁটাই হবে তা নিয়ে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও দাবি সংবাদসংস্থাটির।
২০০৮-এ সারা বিশ্বে ১৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল সোনি। কিন্তু এতে খরচ কমলেও, সংস্থা লাভের মুখ দেখতে পারেনি। পরবর্তী কোনও অর্থবর্ষেই লাভের মুখ দেখেনি সংস্থা। এ দিকে ইয়েনের দাম বাড়া, গত বছরের সুনামি, তাইল্যান্ডে বন্যা ও ইউরোপ-সহ উন্নত দুনিয়ায় চাহিদা কমা সংস্থার ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব ফেলে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবর্ষেও ক্ষতি ২২,০০০ কোটি ইয়েনে দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে সোনি। যার বেশির ভাগটাই হবে টিভির ব্যবসা থেকে। ফলে টিভি বিপণনে সংস্থা বাড়তি জোর দেবে বলেও সংবাদসংস্থার দাবি। |