শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও সিকিমের অনেক অঞ্চলে যাত্রী পরিবহণে এত দিন অনন্য ভূমিকা পালন করছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কর্তৃক অধিগৃহীত এই সংস্থা বর্তমানে মৃতপ্রায়। অবস্থা এমনই হতাশাজনক যে যাত্রীরা সরকারি বাসে উঠতে ভয় পান। যাত্রীমহলে প্রবাদ, সরকারি বাসে উঠলে মাঝ রাস্তা থেকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হবে।
এই পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের ভবিষ্যতও আজ অনিশ্চিত। বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার মালিকরা একটি বাস পথে নামিয়ে তা থেকে আয় করে পরবর্তী কালে আরও বেশি সংখ্যায় বাস নামাচ্ছেন। সেখানে গত কয়েক বছরে সরকারি সংস্থার বাস সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি থেকে কমতে কমতে প্রায় তিনশোর কাছাকাছিতে নেমে এসেছে। |
জলপাইগুড়ির ডিপোয় অচল বাসের সারি। |
বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী, বেসরকারি বাসকে ঢালাও রুট পারমিট প্রদান, সংস্থার প্রশাসকদের অদূরদর্শী নীতি এবং এক অসাধু চক্র। বাসের অভাবে গত কয়েক বছরে বন্ধ হয়েছে এই সংস্থার দূরপাল্লার বহু লাভজনক বাসরুট। এ ছাড়াও রাজ্যব্যাপী উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ২৩টি ডিপোর অসংখ্য লোকাল রুটও বন্ধ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ভাবে যন্ত্রাংশ সরবরাহের অপ্রতুলতার জন্য বহু গাড়ি আজ সামান্য মেরামতির অভাবে বিভিন্ন ডিপোয় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। সংস্থার চালক ও পরিচালকরাও বাধ্য হচ্ছেন লজ্ঝড়ে গাড়ি নিয়েই যাত্রীদের পরিষেবা দিতে। জোড়াতালি দিয়ে দূরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য লোকাল বাস চালাতে গিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। সংস্থার কর্মীরা বিরাগভাজন হচ্ছেন যাত্রীদের। স্বভাবতই যাত্রী সংখ্যা কমছে। কমছে আয়। অথচ প্রশাসনিক স্তরে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে সংস্থা লাভের মুখ দেখতে বাধ্য। এ জন্য কারিগরি বিভাগে উন্নত কাজের পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। কেন্দ্রীয় ভাবে জ্বালানি, টায়ার, গাড়ির যন্ত্রাংশ ক্রয় ও বিভিন্ন ডিপোয় তা বন্টন করতে হবে। অনেক ডিপোতে সামান্য মেরামতির অভাবে পড়ে থাকা অচল বাসগুলোকে মেরামত করে পুনরায় পথে নামানো দরকার। প্রয়োজনে যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে। এমন সব পদক্ষেপ নিলেই ভবিষ্যতে সংস্থা আবার ঘুরে দাঁড়াবে। ১৯৪৫-এ কোচবিহার রাজার তৈরি ও পরবর্তীতে ১৯৬০-এ পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক অধিগৃহীত দেশের সর্বপ্রাচীন এবং উত্তরবঙ্গ তথা রাজ্যের বৃহত্তম এই পরিবহণ সংস্থা। অবিলম্বে সরকারের উচিত এই সংস্থাকে বাঁচাতে সঠিক, প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা করা।
সন্দীপন রাহা। জলপাইগুড়ি
|
‘ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে কলেজে নতুন অধ্যক্ষ’ (১১/১/১২)সংবাদটির প্রেক্ষিতে অতি সংক্ষেপে বলতে চাই যে শিক্ষা জগতে এ এক কলঙ্কময় অধ্যায়। শুধু রায়গঞ্জ, মাজদিয়া, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে বিশৃঙ্খলা, শিক্ষকদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যা সভ্য সমাজে অপ্রত্যাশিত। প্রতিবাদের এমন বীভৎস রূপ অনভিপ্রেত। বর্তমান সরকার এক দিকে শিক্ষাঙ্গনকে নিষ্কলুষ রাখার জন্য ভারী ভারী কথা বলছেন, অপর দিকে চলছে অপরাধীদের আড়াল করার নির্লজ্জ চেষ্টা। বিরোধী থেকে বলা যত সহজ, শাসকের ভূমিকায় বাস্তব ততই কঠিন। এই যদি হয় পরিবর্তনের নমুনা, তবে জনগণ নিশ্চয়ই এমন রূঢ় পরিবর্তন আশা করেনি। সৎ-নির্ভীক মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সমীপে শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করার বিনীত আবেদন রেখে সবিনয়ে জানতে ইচ্ছে করে যে সরকার তৈরি ও স্থায়িত্বের চাবিকাঠি যদি জনগণের হাতে থাকে তবে এমন চলতে থাকলে মেয়াদ শেষে নবীকরণ হবে তো?
রামনাথ মজুমদার। পুন্ডিবাড়ি, কোচবিহার
|
সরকার বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছে। অথচ দেখতে পাচ্ছি অনেক বেলা পর্যন্ত রাস্তার আলো জ্বলতে থাকে। বিদ্যুতের অপচয় হয়। ভোর পাঁচটার পর রাস্তার আলো বন্ধ করলে সাধারণ মানুষের অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে বালুরঘাট বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকদের নজর দেওয়া আশু কর্তব্য।
মিহিরবরণ মুখেপাধ্যায়। বালুরঘাট, উত্তর দিনাজপুর
|
বাজারে খুচরোর আকাল। সমস্যা ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের। মহা মস্যা হল ভিক্ষাজীবী মানুষের। হাত পাতলেই শুনতে হয় খুচরো নেই। তাই ভিক্ষে জোটে না। দিনহাটার বহু ভিক্ষাজীবী মানুষ আজ এই সমস্যার মুখোমুখি। কী করে যে তাঁরা বাঁচবেন সেই চিন্তা করে কূল পাচ্ছেন না।
হিটলার দাস। দিনহাটা, কোচবিহার
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান
সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
‘উত্তরের চিঠি’
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড,
শিলিগুড়ি ৭৩৪৪০১ |
|