|
|
|
|
হাসপাতালের কাজই হয়নি, ‘দায়ী’ কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
ঘোষণা হওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও রায়গঞ্জে এইম্সের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু না হওয়ায় কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি ও বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের ব্যর্থতাকে দায়ী করলেন সোস্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক তথা নবনির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ কিরণময় নন্দ। রবিবার দুপুরে রায়গঞ্জের ইনিষ্টিটিউট মঞ্চে দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির তরফে কিরণময়বাবুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে কর্মিসভার পরে তিনি বলেন, “দীপাদেবী কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে পারেননি। সেই কারণেই ঘোষণা হওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হল না। বিধায়ক মোহিতবাবুর তৎপরতার অভাবেই হাসপাতাল তৈরির জন্য রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করছে না। কংগ্রেস সাংসদ ও বিধায়কদের এই ব্যর্থতার কথা দলের তরফে জেলাজুড়ে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল তৈরির দাবিতে আন্দোলনে নামা হচ্ছে!” কংগ্রেস নেতৃত্ব কিরণবাবুর বক্তব্য গুরুত্ব দিতে নারাজ। মোহিতবাবু বলেন, “কিরণময়বাবুর মতো রাজনৈতিক দেউলিয়া মানুষের কথার জবাব দিতে রুচিতে বাঁধে। রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ না করায় হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে না। আমি গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন রায়গঞ্জেই ওই হাসপাতাল তৈরি করা হবে।” জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিরণময়বাবু আমাদের দলের জন প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।” তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন, “প্রশাসনিক নানা জটিলতার কারণে জমি অধিগ্রহণ করতে রাজ্য সরকারের দেরি হচ্ছে। দলের তরফে রায়গঞ্জে ওই হাসপাতাল তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমি অধিগ্রহণ করার দাবি জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ সঠিক নয়।” ২০০৯ এর ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার রায়গঞ্জে ৮২৩ কোটি টাকা খরচে ১০০ একর জমিতে ৯৬০ শয্যার ওই হাসপাতাল গড়ার কথা ঘোষণা করে। |
|
|
|
|
|