|
|
|
|
প্রস্তাব পেশ আব্বাসের |
মেলেনি ধসে চাপা পড়া কোনও পাক সেনার দেহ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
তল্লাশি চলছে একটানা। তা সত্ত্বেও ৮০ ফুট বরফের নীচে চাপা পড়া সেনা শিবির থেকে এখনও জীবিত বা মৃত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধারকাজে পাকিস্তানকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গায়ারির ওই সেনা শিবিরটি কাল ভোরে এক তুষারধসে চাপা পড়ে। তার পর থেকেই খোঁজ নেই শতাধিক সেনা-সহ ১৩৫ জনের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ১২১ জন পাক সেনা জওয়ান, ৩ জন সেনা অফিসার এবং ১১ জন সাধারণ পাক নাগরিক। পাক সেনার ওয়েবসাইটে নিখোঁজদের পরিচয়ও দেওয়া হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের যে সিয়াচেন এলাকায় ওই তুষারধস নামে, সেখানকার কর্তৃত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাক মতবিরোধ রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজই দিল্লিতে পাক প্রেসিডেন্ট জারদারির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ভারতের তরফ থেকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। জারদারি জানিয়েছেন, দরকার হলে ভারতের সাহায্য নেবে পাকিস্তান।
আটকা পড়ে থাকা সেনাদের খুঁজতে জোরকদমে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে পাক সেনা। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া ও আলোর অভাবে রাতে উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দিতে হয়। আজ সকালে ফের শুরু হয়। সকালেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন পাক সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কিয়ানি। পাক সেনা সূত্রের বক্তব্য, বরফ ভাঙার জন্য রাওয়ালপিন্ডি থেকে যন্ত্র উড়িয়ে আনতে গিয়েও অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়াও পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে। আগামী কয়েক দিনে তা আরও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা। সে ক্ষেত্রে উদ্ধার করা আরও মুশকিল হয়ে পড়বে বলে তাঁরা মনে করছেন। ‘মৃত্যুপুরী’তে প্রাণের স্পন্দন খুঁজতে আপাতত অলৌকিক কিছুর ওপরেই ভরসা করে রয়েছে সবাই। |
|
|
|
|
|