অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক দম্পতির। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের নাম প্রশান্ত হাজরা (৩৩) ও শম্পা হাজরা (২৬)। তাঁরা কেতুগ্রামের বহড়ানের বাসিন্দা ছিলেন। শনিবার দুপুরে কাটোয়া হাসপাতালে মৃতদেহ দু’টির ময়নাতদন্ত হয়েছে। ওই দম্পতির দুই সন্তান, ছ’বছরের সন্দীপ ও তিন বছরের শৌমিক আপাতত দাদু-ঠাকুমার হেফাজতে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবের গাজন উপলক্ষে নতুন জামাকাপড় কেনা কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়েছিল। গাজন উপলক্ষ্যে বহড়ানে মেলা হয়। তাতে নতুন জামা-কাপড় কেনার রেওয়াজ রয়েছে হাজরা পরিবারে। শুক্রবার দুপুরে এক ফেরিওয়ালার কাছ থেকে নিজের জন্য শাড়ি ও সন্তানদের জন্য জামাকাপড় কিনেছিলেন শম্পাদেবী। তা প্রশান্তবাবুর পছন্দ না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তার পরেই বিকেলে ফাঁকা বাড়িতে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন শম্পাদেবী। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান প্রশান্তবাবু। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দু’জনকেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁদের।
শম্পাদেবীর দাদা বিনোদ হাজরা বলেন, “ফেরিওয়ালার কাছ থেকে জামাকাপড় কিনেছিল শম্পা। তা’ দেখে প্রশান্ত বলে, ওই টাকা দিয়ে কাটোয়া শহরে আরও ভাল জিনিস পাওয়া যেত। ওই জামাকাপড় ফেরিওয়ালাকে ফেরত দিতে বললে ওদের মধ্যে বচসা হয়। অভিমানে আমার বোন গায়ে আগুন লাগায়।” প্রশান্তবাবুর বাবা সন্ন্যাসী হাজরা বলেন, “আট বছরের বিবাহিত জীবনে ওদের মধ্যে কখনও অশান্তি হয়নি। সামান্য কারণে এমনটা ঘটবে, ভাবিনি। এখন ওদের সন্তানদের কীভাবে মানুষ করব, সেটাই চিন্তার।” |