অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ড ফান্ড (সিপিএফ) থেকে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের (জিপিএফ) আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পেনশন সংগ্রাম সমিতির চতুর্থ বার্ষিক রাজ্য সম্মেলনে এমনই দাবি উঠল।
সভায় আমন্ত্রিত পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নীহারেন্দু চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছিলাম আমি। তিনি এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শিক্ষা সচিব বিক্রম সেনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।” তবে সংগ্রাম সমিতির রাজ্য সম্পাদক অনিলকুমার ঘোষের অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী অন্য শিক্ষক সংগঠনকে দেখা করতে সময় দিচ্ছেন। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দুর্দশার কথা তিনি সরাসরি অবসরপ্রাপ্তদের কাছ থেকে শুনতে চাইছেন না। তাই আমাদের তিনি একটুও সময় দিতে পারলেন না।”
সভায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আরও অভিযোগ, বাম আমলে নানা দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারের সুনজর থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা। কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ড ফান্ড পাওয়া শিক্ষকদের জেনারেল প্রভিডেন্ড ফান্ডের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি মিললেও, তা বাস্তবায়িত হয়নি। নতুন সরকারও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। অনিলবাবুদের দাবি, অবসরপ্রাপ্ত যে শিক্ষকেরা সুপ্রিম কোর্টে সিপিএফ থেকে জিপিএফের আওতায় আসতে চেয়ে মামলা করেছেন, গত ২৬ মার্চ বিধানসভায় উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁদের সেই মামলা তুলে নিতে বলেছেন। কিন্তু পরের দিনই অর্থাৎ ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে সিপিএফ নিয়ে সরকারের হয়ে সওয়াল করেছেন তৃণমূলের সাংসদ, আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংগ্রাম সমিতির সভাপতি করুণাসিন্ধু মুখোপাধ্যায় বলেন, “কয়েক হাজার শিক্ষক পেনশন না পেয়ে অকালে মারা গিয়েছেন। তাঁদের নামের দীর্ঘ তালিকা আমাদের কাছে আছে। যদি সরকার অবিলম্বে তাঁদের সিপিএফ থেকে জিপিএফের আওতায় না আনে তাহলে রাজ্য জুড়ে শিক্ষকদের মৃত্যু বরণ করতে হবে।” এই দাবিতে শিক্ষকেরা অনশন করতে বাধ্য হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে বার বার চেষ্টা করেও এ দিন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |