উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদ ভোটে ১৮-০ ভোটে জিতল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। প্রায় তিন দশক পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদ হাতছাড়া হল বামেদের। শনিবার ভোটের ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, সবকটি আসনেই জিতেছে টিএমসিপি। তার মধ্যে ৪টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ছাত্র সংসদের সভাপতি হয়েছেন বিনয় কুমার ও সাধারণ সম্পাদক শুভায়ন ঘোষ। এ বার ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলে ভোটে যোগ দেয়নি এসএফআই। কিন্তু, ১৪টি আসনে ডিএসও-র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। টিএমসিপি-র অভিযোগ, এসএফআই প্রার্থী না দিলেও আড়াল থেকে ডিএসও-র হয়েই প্রচার চালিয়েছে। এমনকী, ছাত্র পরিষদের ওই কলেজে সংগঠন জোরদার নয়। তা সত্ত্বেও ছাত্র পরিষদের একাংশও তাদের হারাতে চেষ্টা করেছে বলে টিএমসিপি-র অভিযোগ। ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই, উভয়েই ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। এই জয়ের পরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ‘স্বস্তির নিশ্বাস’ ফেলতে পারবেন বলে মনে করছেন টিএমসিপি-র নেতাদের অনেকেই। কারণ, কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ভোটে পর্যুদস্ত হয় টিএমসিপি। সেখানে তারা মাত্র একটি আসন পায়। ওই ছাত্র সংসদ দখল করে ছাত্র পরিষদ। তার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগেও দাঁত ফোটাতে পারেনি টিএমসিপি। সেখানে জয়ী হয়েছে এসএফআই। তা নিয়ে দলের মধ্যেই নানা প্রশ্ন ওঠে। টিএমসিপি-র দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, “এতদিন ধরে ছাত্র সংসদে যে অব্যবস্থা, দুর্নীতি চলছিল তার জবাব দিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা।” এই জয়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীও। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওই কলেজে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন কর্তৃত্ব করেছে। আমাদের ভোটে লড়তে দেয়নি।” পাশাপাশি, শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “১৯৭৬ সালের পরে এই প্রথম দক্ষিণপন্থীদের হাতে এল ছাত্র সংসদ। ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন।” এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌরভ দাস অবশ্য অভিযোগ করেছেন, গোড়া থেকেই ছাত্রছাত্রীদের ভয় দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, “বড় মাপের নেতা, এমনকী মন্ত্রীও হস্টেলে ঢুকে প্রচার করেছেন। ভয়ে অনেকে প্রার্থী হতে চাননি। আমরা সন্ত্রাসের প্রতিবাদে প্রার্থী দিইনি।” |