নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ফের হাসপাতালে আগুন।
শনিবার শিলিগুড়ির জনবহুল হাকিমপাড়ায় একটি নার্সিংহোমের জেনারেটর রুমে আগুন লাগায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। রোগী এবং তাদের পরিবারের লোকজনদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকেই নার্সিংহোম থেকে বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। তবে বিদ্যুতের মেন সুইচ বন্ধ করে দ্রুতই পরিস্থিতি সামাল দেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। থমকে যায় নির্ধারিত অস্ত্রোপচার। রোগীদের যাতে শ্বাসকষ্ট না-হয়, সে জন্য খুলে দেওয়া হয় জানলা-দরজা। ইতিমধ্যে দমকলের দুটি ইঞ্জিনও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আধ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে ধোঁয়া আর পোড়া গন্ধে আতঙ্ক গ্রাস করে গোটা এলাকায়। ভিড়ে থিক থিক করছে রাস্তা। আলোচনা একটাইআরও একটা আমরহি হতে যাচ্ছিল! |
দমকলের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর গৌর ঘোষ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। নার্সিংহোমের কর্মীরাই আগুন নেভানোর কাজে নেমেছেন। দমকলের কর্মীরা যাওয়ার পরে আগুন পুরোপুরি আয়ত্বে এসেছে।” দমকলের এক অফিসার জানান, বৈদ্যুতিক লাইনের তার পুরনো হওয়ায় অনেক সময়ে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সংযোগের তার নিয়মিত পরীক্ষা করা হয় কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে দমকলের অফিসার জানান।
যে এলাকায় নার্সিংহোমটি রয়েছে, তার প্রায় গা ঘেঁষেই শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের বাড়ি। মেয়র বলেন, “তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘শর্ট সার্কিট’ই আগুন লাগার কারণ। নার্সিংহোমের কর্ণধার কৃষ্ণচন্দ্র মিত্র বলেন, “শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। নার্সিংহোমের কর্মী ও দমকলের তৎপরতায় আগুন ছড়াতে পারেনি।” |