|
|
|
|
খুনে অভিযুক্ত ফেরার সিপিএম নেতা ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
খুন, খুনের চেষ্টা, ঘরে আগুন লাগানো, হামলার একগুচ্ছ মামলায় অভিযুক্ত কাঁথির ‘ফেরার’ সিপিএম নেতা আশিস গিরি শনিবার ভোরে ধরা পড়লেন কাঁথি শহর থেকেই। কাঁথি-২ দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমানে বিরোধী দলনেতা আশিসবাবু সিপিএমের নামালডিহা লোকাল কমিটিরও সম্পাদক। এ দিন ভোরে কাঁথি শহরের টাউন হলের কাছে আশিসবাবু দূরপাল্লার বাস ধরার জন্য আসবেন, আগেভাগে জানতে পেরে অপেক্ষায় ছিল কাঁথি থানার পুলিশ। আশিসবাবু পৌঁছতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দেশপ্রাণ ব্লকেরই শুনিয়া অঞ্চলে ২০১০-এর ২০ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কর্মী নীলাদ্রি মাইতি-র খুনের ঘটনা-সহ মোট ৯টি মামলায় অভিযুক্ত করে এ দিনই আশিসবাবুকে কাঁথি এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। ভারপ্রাপ্ত বিচারক কৃষ্ণাঞ্জনা রায় ৪টি মামলায় ধৃতের জামিন মঞ্জুর করলেও বাকি ৫টি মামলায় জামিন না-মঞ্জুর করে সরকারপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। |
|
পুলিশ ভ্যানে আশিস গিরি (মাঝে)। নিজস্ব চিত্র। |
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত পাত্রের অভিযোগ, “তৃণমূলের সন্ত্রাসেই আশিসবাবু দীর্ঘ দিন ঘর ছাড়া ও গ্রাম ছাড়া হয়েছিলেন। তৃণমূলের দায়ের করা একাধিক মিথ্যা মামলায় এর আগে আদালত থেকে জামিনও নিয়েছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তৃণমূল ঘর ছাড়া আশিসবাবুর নামেও ফের একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ শাসকদলের নির্দেশে সেই সাজানো মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে।” অন্য দিকে, তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের দাবি, “আশিস গিরির নেতৃত্বেই সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী দীর্ঘ দিন ধরে কাঁথি, খেজুরি অঞ্চলে সন্ত্রাস চালিয়েছে। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডের বহু তথ্যও আশিসবাবুকে জেরা করে জানা যেতে পারে।” সে কারণে ধৃত সিপিএম নেতাকে সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন মামুদ।
নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে গত মাসেই গ্রেফতার হয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ, অশোক গুড়িয়া, অমিয় সাউদের মতো জেলার প্রথম সারির তিন সিপিএম নেতা। আশিসবাবুও বিশেষত কাঁথি এলাকায় ‘দাপুটে’ নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। একের পর এক ভোটে বিপর্যয় সত্ত্বেও মূলত আশিসবাবুর দাপটেই জেলার মধ্যে কাঁথির তিনটি ব্লকে সিপিএমের রাজনৈতিক সক্রিয়তা কিছু মাত্রায় বজায় ছিল। তাঁর গ্রেফতারের ঘটনা পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাম-শিবিরকে ওই অঞ্চলে দুর্বল করবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। |
|
|
|
|
|