|
|
|
|
পুলিশের গুলিতে পা-হারানো প্রৌঢ় আত্মঘাতী সাঁকরাইলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বছর দেড়েক আগে, ২০১০-এর ৪ নভেম্বর জঙ্গলমহলের সাঁকরাইলে চুনপাড়া গ্রামে মাওবাদীদের খোঁজে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময়ে পুলিশি গুলি-চালনায় জখম হয়েছিলেন জনা সাতেক গ্রামবাসী। এক জন পরে মারা যান। পেশায় দিনমজুর, বছর পঞ্চাশের তারক মাহতোর পায়ে গুলি লেগেছিল। পরে তাঁর ডান পা হাঁটুর নীচ থেকে কেটে বাদ দিতে হয়েছিল। শনিবার সকালে চুনপাড়া গ্রামে বাড়ির ভিতর একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল সেই তারকবাবুর।
বছর দেড়েক আগের ওই ঘটনায় পুলিশকর্মীরাও আক্রান্ত হওয়ায় ৭৮ জন গ্রামবাসীর নামে রাষ্ট্রদ্রোহ, খুনের চেষ্টা, বাধাদান, হামলা, অস্ত্র লুঠের মামলা দায়ের হয়েছিল। তারকবাবুও ছিলেন অন্যতম অভিযুক্ত। একে পা খুইয়ে দিনমজুরির কাজ করতে পারছিলেন না, উপরন্তু মামলার চাপে ওই প্রৌঢ় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী উষাদেবী, ছেলে সচ্চিদানন্দ। সে কারণেই তারকবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের।
কংগ্রেসের তরফে তারকবাবুর এই পরিণতির জন্য আবার তৃণমূল নেতৃত্বকে দায়ী করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি প্রসূণ ষড়ঙ্গীর অভিযোগ, “রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে তারকবাবুকে মামলা প্রত্যাহার ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু সে কথা রাখা হয়নি। তার জেরেই এই পরিণতি।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্রের অবশ্য বক্তব্য, “বাম জমানায় তারকবাবু গুলিবিদ্ধ হন। মামলাটিও আগের আমলের। দলীয় ভাবে আমরা তারকবাবুকে নানা সময়ে সাহায্য করেছি। তাঁর পরিবারও যাতে সাহায্য পায়, সে চেষ্টা করব।”
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১০-এর ওই ঘটনায় সাঁকরাইল থানার তদানীন্তন ওসি-সহ ১৭ জন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছিলেন। ওসি-র একে-৪৭ রাইফেলটিও লুঠ হয়েছিল। যা গত নভেম্বরে বুড়িশোলে কিষেণজি নিহত হওয়ার পর তাঁর দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়। চুনপাড়ার ঘটনায় গ্রামবাসীদের একাংশের নামে আইন মেনেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তারকবাবুর মৃত্যু ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ কর্তারা।
|
লরি থেকে পড়ে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
চলন্ত লরি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল খালাসির। মৃত রবিন দাসের (২৫) বাড়ি কলকাতার তিলজলায়। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা শহরের গাছশীতলায়। পুলিশ লরিটিকে আটক করেছে। চালক পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, রাতে ক্ষীরপাই থেকে খালি লরিটি চন্দ্রকোনার মহেশপুর যাচ্ছিল। কেবিনে চালকের পাশে বসে ঘুমোচ্ছিলেন রবিন। আচমকাই কেবিনের দরজা খুলে গেলে পড়ে যান তিনি। লরির পিছনের চাকাটি তাঁর পেটের উপর দিয়ে চলে যায়। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই খালাসির। |
|
|
|
|
|