সুব্রত ভট্টাচার্যকে জানিয়েই তিনি দুবাইতে ধারাভাষ্য দিতে গিয়েছিলেন জানিয়ে দিলেন সুনীল ছেত্রী। দ্বিতীয় শো-কজের জবাবে শনিবার ক্লাবকে মোহনবাগান স্ট্রাইকার যে চিঠি দিলেন তাতেই উঠে এল ক্লাবের টিডির নাম। সুনীল লিখেছেন, “কোচ বলতে আমি টিডির কথাই বলেছিলাম। ওর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে দুবাই যাওয়ার কথাই প্রথম চিঠিতে লিখেছিলাম।”
সুনীল ছেত্রীকে ছেঁটে ফেলা হবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে মোহনবাগান। কিন্তু সুব্রত ভট্টাচার্য-প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জুটিকেও কি পরের মরসুমে রাখা হবে? আপাতত তা নিয়ে তোলপাড় ট্রফিহীন বাগান। কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাচ্ছেন। আলোচনা যে দিকে এগোচ্ছে তা সুব্রতদের পক্ষে একেবারেই স্বস্তিদায়ক নয়। |
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তিনটি ডার্বি ম্যাচের সব ক’টিতে অপরাজিত থাকলেও (দুটি জয়, একটি ড্র) মোহনবাগান কোনও ট্রফি এ বার জেতেনি। সুব্রত-প্রশান্ত জুটি দুটো ট্রফি খেলেছেন। আই লিগ ইতিমধ্যেই হাতছাড়া। রানার্স হওয়ার আশাও নেই। কলকাতা লিগ জেতার সম্ভবনাও প্রায় নেই-ই। কর্তারা ক্ষুব্ধ তাদের না জানিয়ে টিডি নিজের সিদ্ধান্তে সুনীলকে ছেড়ে দেওয়ায়। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ, মোহনবাগান আই এফ এ শিল্ড না খেলায় প্রায় দেড় মাস সময় পাওয়া সত্ত্বেও টিম দাঁড় করাতে পারেননি টিডি-কোচ। পরপর তিনটি আই লিগ ম্যাচ ড্র হওয়ায় ছিটকে গিয়েছে দল। অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত শনিবার বললেন, “টিডি-কোচ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মরসুম শেষে শীর্ষকর্তারা সবাই মিলে নেবেন। তবে সবকিছুর উপর আমরা নজর রাখছি। টেকনিক্যাল কমিটির কাছে ডেম্পো-সহ শেষ তিন ম্যাচের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যা ওদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ওরা কী বলে আমরা দেখি।”
যাঁকে রাখা বা না রাখা নিয়ে এত শোরগোল সেই সুব্রত অবশ্য পুরো ব্যাপারেই নিস্পৃহ। বললেন, “কেউ আমাকে কিছু বলেনি। কাকে রাখা হবে না হবে এটা একেবারেই ক্লাব কর্তাদের ব্যাপার। এই মরসুমে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত আমি দায়িত্বে আছি। নিজের কাজ করে যেতে চাই। এই দল নিয়ে যা করা সম্ভব তাই করব।”
সকালের অনুশীলনে কোনও কথা বলেননি সুব্রত বা প্রশান্ত। সাংবাদিকদের সামনে পাঠানো হয়েছিল ম্যানেজার বার্নাড ওপারনোজিকেই। তিনি বলে দেন, “আই লিগে সম্মানজনক জায়গায় শেষ করাটাই প্রধান লক্ষ্য।” ওডাফা-ব্যারেটোরাও অনুশীলনে আসেননি। বাকি ফুটবলাররা তাঁবু থেকে দ্রুত বাড়ি চলে যান। মুখ খোলেননি কেউই।
|
ট্রেভর মর্গ্যান এবং টোলগে ওজবে যাননি ইরাকি দূতাবাস ভিসা না দেওয়ায়। আরবিল এস সির বিরুদ্ধে খেলতে যেতে পারলেন না গোলকিপার গুরপ্রীত সিংহও। রক্ত পরীক্ষার পর ডাক্তাররা তাঁকে প্রথমে যেতে বারণ করেছিলেন। একটি ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর তাঁর শরীর খারাপ থাকায় আর যেতে পারেননি। গোলকিপার হিসাবে গেলেন সন্দীপ নন্দী এবং দেবজিৎ মজুমদার। মর্গ্যান না যাওয়ায় সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরী কোচিং করাবেন মঙ্গলবারের ম্যাচে। পেন-উগা-মেহতাবরা দুবাই হয়ে বাগদাদ গেলেন। গেলেন অ্যালভিটো ডি’কুনহাও। কোচ কাম ফুটবলার হিসাবে। শনিবার সকালে রওনা হলেও দুবাইতে দশ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। আরবিল পৌঁছতে অনেক রাত হয়ে যাবে। |