দূষণের অভিযোগে আন্দোলনরত বাসিন্দারা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে শিলিগুড়ি শহরের সাফাই পরিষেবা। শুক্র থেকে গত দু’দিনে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা যায়নি। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জমেছে আবর্জনার স্তূপ। ওয়ার্ডগুলি থেকেও আবর্জনা সরানোর প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে। সমস্যা মেটাতে আন্দোলনরত বাসিন্দাদের সংগঠন সচেতনতা জাগরণ কমিটির প্রতিনিধিদের এ দিন পুরসভায় আলোচনায় ডেকেছিলেন কর্তৃপক্ষ। অনুরোধ করেছিলেন মেয়রও। কিন্তু তাঁরা আলোচনায় না এসে আন্দোলনে অনড় থাকায় সমস্যা বেড়েছে।
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “আমরা সবরকম ভাবে চেষ্টা করছি। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের দূষণ নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তেমনই ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকায় মশামাছি তাড়াতে স্প্রে করা, পাঁচিল দিয়ে এলাকাটিকে ঘেরার কাজও শুরু হয়েছে। বাসিন্দারা সহযোগিতা না করলে ওই কাজ করা সম্ভব নয়।” তিনি বলেন, “তা ছাড়া আন্দোলনরত বাসিন্দাদের বাধায় ময়লা ফেলা সম্ভব না হলে গোটা শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হবে। এটা তো তাদের বুঝতে হবে!”
সচেতনতা জাগরণ কমিটির সম্পাদক সুজিত বিশ্বাস জানান, তাঁরা নিজেদের কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তবেই পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাই এ দিনের বৈঠকে যাননি। সুজিতবাবু বলেন, “মাস দুয়েক আগে পুরসভা যে আশ্বাস দিয়েছিল তা তাঁরা রাখতে পারেননি। তাই আমাদের ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য এলাকার পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে। এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পথবাতি, রাস্তা সংস্কারের কাজ করার আশ্বাস দেওয়া হলেও কিছু হয়নি।”
আন্দোলনকারীরা আলোচনায় না এলেও এ দিন মেয়র তার পারিষদ এবং কাউন্সিলরদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরিস্থিতির কথা পুলিশ প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। |