কূটনীতির অন্যতম বাসা রসনায়! অন্তত যুব-কূটনীতির!
আগামী কাল ৭ নম্বর রেসকোর্স রোডে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ভারত এবং পাকিস্তানের দুই নবীন প্রজন্মের পারষ্পরিক দেখা হচ্ছে কচ্চি গোস্ত বিরিয়ানি এবং শাম্মি কাবাবের সুঘ্রানের আবহে। সেখানে থাকছে দক্ষিণ ভারতের মসলা ধোসা থেকে পশ্চিমবঙ্গের নরম পাকের সন্দেশও।
ভারত এবং পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান দুই রাজনৈতিক পরিবারের নবীন প্রজন্ম রাহুল গাঁধী এবং বিলাবল জারদারি ভুট্টো যাতে মধ্যাহ্নভোজের টেবিলে কাছাকাছি বসেন তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খাওয়ার ফাঁকে যাতে দুই নেতা নিজেদের মধ্যে স্বচ্ছন্দে কথা বলতে পারেন, সেই সুযোগও করে দিতে চাইছেন কূটনৈতিক কর্তারাও। বিলাবল ছাড়া মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত থাকবেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির দুই কন্যাও। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আসিফ আলি জারদারিকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে মণিমুক্তো বসানো মইনুদ্দিন চিস্তির দরগার একটি রেপ্লিকা।
দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধান তাঁদের একান্ত বৈঠকে সন্ত্রাস থেকে বাণিজ্য দ্বিপাক্ষিক সমস্ত বিষয়গুলিই ঝালিয়ে নেবেন আলোচনার সুযোগে। আলোচনা করবেন দু’দেশের অন্য কর্তারাও। আর তার পাশাপাশি নিছকই হাল্কা মেজাজে ‘গল্প’ করার সুযোগ পাবেন রাহুল-বিলাবল। অক্সফোর্ড শিক্ষিত, তায়কুন্ডুতে ব্ল্যাকবেল্ট, প্রবল ক্রিকেটপ্রেমী বেনজির-পুত্রের এটি প্রথম ভারত সফর। মায়ের অকালমৃত্যুর পর পাকিস্তান পিপলস পার্টির আংশিক দায়িত্বভার কাঁধে এসে পড়েছে তাঁর। জারদারির ভারত সফরে তাঁর উপস্থিতি তাই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলার সুযোগ পাবেন বিলাবল। রাজীব গাঁধীর সঙ্গে যথেষ্ট সখ্য ছিল বেনজিরের। সর্বোচ্চ কূটনৈতিক মঞ্চে রাজীব-বেনজিরের পরের প্রজন্মের দেখা হওয়ার বিষয়টিকে তাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় বিশেষ কাজে কর্ণাটকে। তিনি ছাড়া মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির প্রত্যেক সদস্য উপস্থিত থাকবেন কালকের বৈঠকে। থাকবেন সপরিবার সনিয়া গাঁধী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পুলক চট্টোপাধ্যায়। বিরোধী নেতাদের মধ্যে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলিকে। বিজেপি সূত্রের খবর, জেটলি না থাকতে পারলেও বাকি দুই নেতা-নেত্রীই উপস্থিত থাকবেন ওই মধ্যাহ্নভোজে। পাকিস্তানের পক্ষে অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী রেহমান মালিক ছাড়াও উপস্থিত থাকার কথা পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণর সঙ্গে পৃথক ভাবে আলোচনাতেও বসতে পারেন তিনি। |