‘সন্দেহজনক’ উপায়ে কার্বি আংলংয়ে জঙ্গি কবল থেকে দুই বন অফিসারের ‘মুক্তি’ ঘিরে রীতিমতো নাটকের সৃষ্টি হয়েছে। কাল পুলিশের হাতে ধরা পড়া দুই কেপিএলটি জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩৫ লক্ষ টাকা। জেরায় তারা কবুল করে, মার্চের গোড়ায় অপহৃত মুখ্য বনপাল অভিজিৎ রাহা ও রেঞ্জার রঞ্জন বরুয়াকে ছেড়ে দেওয়ার ‘বিনিময়ে’ই বন বিভাগের কাছ থেকে এই টাকা নিয়েছিল তারা। এ কথা জানার পরই পুলিশ আজ গ্রেফতার করে রেঞ্জার রঞ্জন বরুয়া ও বন বিভাগের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ভূপেন্দ্রনাথ নার্জারিকে। তাদের ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছে আদালত। এ ঘটনায় মুখ্য বনপালকেও জেরা করতে পারে পুলিশ।
গত ৩ মার্চ, সিংহাসন পাহাড়ে সমীক্ষা চালিয়ে ফেরার পথে মুখ্য বনপাল অভিজিৎ রাহা ও রেঞ্জার রঞ্জন বরুয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। পুলিশ, সিআরপি, সেনাবাহিনী বিস্তর অভিযান চালিয়েও দু’জনের সন্ধান পায়নি। শেষ অবধি ৬ মার্চ জঙ্গিরা দুই বন অফিসারকেই মুক্তি দেয়। তখন পুলিশ দাবি করেছিল, যৌথ বাহিনীর লাগাতার তল্লাশি অভিযানের চাপেই ওই দুই জনকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে জঙ্গিরা। অন্য দিকে জঙ্গিরা জানিয়েছিল, মানবিকতার খাতিরেই মুক্তি দেওয়া হল দু’জনকে। কিন্তু কাল ধরা পড়া দুই কেপিএলটি জঙ্গির কাছে পাওয়া ৩৫ লক্ষ টাকার উৎস সন্ধান করতে গিয়েই বেরিয়ে এল ‘মুক্তি’র আসল রহস্যটি। পুলিশের নাগাড়ে জেরার মুখে ভেঙে পড়ে দুই জঙ্গি কবুল করে, মোটা টাকার প্রতিশ্রুতির বিনিময়েই মুক্তি পেয়েছিলেন অপহৃত মুখ্য বনপাল অভিজিৎ রাভা ও রেঞ্জার রঞ্জন বরুয়া। বনবিভাগের কাছ থেকেই এই টাকা নেয় তারা। পুলিশ সুপার বি বি ছেত্রী জানান, রঞ্জন ২৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করে ভূপেন্দ্রনাথকে দিয়েছিলেন। ভূপেন্দ্রর বাড়ি থেকে টাকা সংগ্রহ করে বের হওয়ার পরেই ধরা পড়ে জঙ্গিরা। |