এ বার ঝাড়খণ্ডে স্কুল পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল প্রকল্পেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল টাটা শিল্প গোষ্ঠী। প্রাথমিক ভাবে পূর্ব সিংভূম এবং সরায়কেলা খরসোঁয়া জেলার ৩৮৯ টি স্কুলের প্রায় ৬৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর কাছে দৈনিক দুপুরের খাবার পৌঁছনোর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাঁধে তুলে নিচ্ছে টাটা গোষ্ঠী। এই শিল্প গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে নিরাপদ এবং উচ্চমানের খাদ্য। আগামী সোমবার থেকেই চালু হচ্ছে নতুন মিড-ডে মিল ব্যবস্থা। মিড-ডে মিল প্রকল্পে এই ধরনের উদ্যোগ পূর্ব ভারতে এটাই প্রথম বলে টাটা গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে।
এর জন্য জামশেদপুরে টাটা স্টিলের কমিউনিটি সেন্টারের কাছে রামদাস ভাট্টায় তৈরি হয়েছে মিড-ডে মিল প্রস্তুত করার জন্য বিশাল রান্নাশালা। আজ টাটা স্টিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এইচ এস নেরুরকারের উপস্থিতিতে এই ‘কমিউনিটি কিচেন শেড’-এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। ‘কমিউনিটি কিচেন শেড’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা জানান, মিড-ডে মিল প্রকল্পের সুষ্ঠতা বজায় রাখতে ‘কমিউনিটি কিচেন’ প্রক্রিয়া চালু করা অত্যন্ত জরুরি। আগামী দিনে রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে মিড-ডে মিল প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। |
টাটা স্টিল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দুই জেলার জেলার ৩৮৯টি স্কুলে প্রতিদিন মিড-ডে মিলের খাবার পৌঁছে দিতে তৈরি থাকবে ২৫টি গাড়ি। এই ভাবে প্রকল্পের পরিকাঠামো গড়ে দেওয়ার দায়িত্ব টাটা গোষ্ঠীর। মিড-ডে মিল প্রকল্প রূপায়ণে এই দুটি জেলা সাফল্য পেলে আগামী দিনে ঝাড়খণ্ডের অন্য জেলাগুলিতে একই ভাবে তারা পরিকাঠামো গড়তে সরকারকে সাহায্য করেবে টাটা স্টিল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জামশেদজি টাটার জন্মদিন উপলক্ষে ঝাড়খণ্ডে এসেছিলেন রতন টাটা ও তাঁর উত্তরসূরী সাইরাস মিস্ত্রি। তাঁরা সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার সঙ্গে দেখা করে শিল্প, বিনিয়োগ ছাড়াও ঝাড়খণ্ডের সার্বিক উন্নয়নে টাটা গোষ্ঠীর সব সরকম সহায়তার আশ্বাস দেন। এই কমিউনিটি কিচেন তারই অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে। ‘কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি’ প্রকল্পে টাটারা এ বার ঝাড়খণ্ডের সামাজিক উন্নয়নে আরও বেশি জোর দেবে বলেই আজ টাটা কর্তাদের কথায় ইঙ্গিত মিলেছে। |