|
|
|
|
থানায় কীটনাশক খেলেন মহিলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের কাছে ফিরে পেয়েছিলেন ‘দুব্যর্বহার’। প্রতিবাদে থানার মধ্যেই কীটনাশক খেয়েছিলেন বছর আটাশের সাঞ্জুয়ারা খাতুন। তবে তড়িঘড়ি পুলিশই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করায় আপাতত সুস্থ ওই মহিলা। বলছেন, “অপমানের জবাব দিতেই কীটনাশক খেয়েছি।”
তবে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার পুলিশ ওই মহিলাকে ‘অপমান’ বা অকথ্য ‘গালিগালাজের’ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরও বলছেন, “মহিলা সকালে থানায় এসেছিলেন। তবে থানায় নয়, সম্ভবত তিনি বাইরে থেকেই কীটনাশক খেয়ে এসেছিলেন। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।” জঙ্গিপুর হাসপাতল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার মুখে কিছু কীটনাশক পাওয়া গিয়েছে ঠিকই তবে তাঁর অবস্তা আশঙ্কাজনক নয়।”
কিন্তু কীটনাশক খেতে হল কেন? হুমায়ুন বলেন, “যতটুকু জানতে পেরেছি, সুদে টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে ওই মহিলার ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় একজ যুবেকর কথাকাটাকাটি হয়েছিল। তারই জেরে তিনি বৃহস্পতিবার থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ তার তদন্তেও গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও কেন পুলিশি দুব্যর্বহারের অভিযোগ করছেন বুঝতে পারছি না।”
কী হয়েছিল? মহেশাইল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘুরে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সঞ্জুয়ারার দাবি, তাঁর ভাই আলম শেখ পাশের গ্রামের এক সুদের কারবারির কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলেন। তাগাদা দিতে পাওনাদার মানজার শেখ বৃহস্পতিবার বাড়িতে এসে আলমকে না পেয়ে তাঁর বোনকে গালমন্দ করেন। সেই সময়ে তাঁর ‘শ্লীলতাহানির’ও করা হয়েছে বলে ওই মহিলার দাবি। তিনি বলেন, “সন্ধ্যায় সুতি থানায় একটি ডায়েরি করি। তদন্ত করতে পুলিশও আসে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের বদলে নোংরা ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করেন।”
স্থানীয় একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা সাঞ্জুয়ারা পরের দিনই ফের থানায় গিয়েছিলেন ওই গালিগালাজের প্রতিবাদ করতে। সঞ্জুয়ারা জানান, থানায় ডিউটি অফিসারকে সবিস্তারে ঘটনা বলা মাত্র পাল্টা ভয় দেখানো সুরু হয়। তিনি বলেন, “আমাকে থানা থেকে না বেরোলে লকআপে পুরো দেওয়ারও ভয় দেখান তিনি।”
এরপরেই কীটনাশক খান তিনি। তবে সুতি থানার ওসি জামালুদ্দিন মণ্ডল বলেন, “থানার কেউ-ই ওই মহিলার সঙ্গে দুব্যর্বহার করেননি।” |
|
|
|
|
|