|
|
|
|
ইসিএলের আবাসন |
দখল উচ্ছেদে রিপোর্ট তলব আদালতের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
খনি আবাসন থেকে দখলদার উচ্ছেদের ব্যাপারে ইসিএলকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ১১ মে-র মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, এ ব্যাপারে জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবীর নিরাপত্তার দিকে পুলিশকে নজর দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে আইনজীবী পার্থ ঘোষ ইসিএলের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ইসিএল বিআইএফআর-এর অধীন। এই অবস্থায় ৭০ শতাংশ কর্মী আবাসনই বহিরাগতদের দখলে চলে গিয়েছে। অন্য দিকে, আবাসন দিতে না-পেরে ইসিএল প্রতি মাসে কর্মীদের বহু টাকা আবাসন ভাতা দিচ্ছে। একই সঙ্গে বহিরাগতদের দখলে চলে যাওয়া কর্মী আবাসনগুলিতে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং রক্ষণাবেক্ষণে কোটি-কোটি টাকা খরচ করছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ইসিএলকে আবাসন থেকে দখলদার উচ্ছেদের ব্যাপারে পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়। ইসিএলের তরফে দাবি করা হয়, মাফিয়াদের দখলে থাকা কর্মী আবাসন তারা দখলমুক্ত করতে পারছে না। পুলিশও সাহায্য করছে না বলে জানানো হয়। ইসিএলকে সাহায্য করার জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
সম্প্রতি আদালত ইসিএলের কাছে জানতে চায়, এখনও উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা গেল না কেন। ইসিএলের তরফে এ ব্যাপারে সময় চাওয়া হয়। তখনই আদালত নির্দেশ দেয়, কতটা কাজ করা সম্ভব হয়েছে ও কী বাকি আছে সে নিয়ে ১১ মে-র মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে ইসিএল-কে। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা হবে। জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবীর জন্য এর আগেও নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে ওই আইনজীবী নিরাপত্তারক্ষী নিতে চাননি। আদালত ফের তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “এখনও আদালতের নির্দেশ হাতে পাইনি। পেলে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।” |
|
|
|
|
|