|
|
|
|
বেআইনি পার্কিং জোন তৈরি করে টাকা ‘আদায়’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
শপিং মলের সামনে বেআইনি ভাবে ‘পার্কিং জোন’ তৈরি করে টাকা আদায় করছে এক দল যুবক। এমনই অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকায়। পুরসভা বা এডিডিএ, কারও কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই দিনের পর দিন এমন কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছরখানেক আগে ওই শপিং মলটির উদ্বোধন হয়। প্রথম দিকে শপিং মলের নিজস্ব গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যেই তারা সে ব্যবস্থা করে ফেলে। বেসমেন্টে গাড়ি পাকির্ংয়ের ভাল বন্দোবস্ত রয়েছে। সামনের রাস্তায় যাতে কেউ গাড়ি দাঁড় না করান, সে জন্য বোর্ডও লাগিয়েছেন মল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে গাড়ি রাখা ও বের করা সময় সাপেক্ষ। তারই সুযোগ নিয়ে রাতারাতি মলের সামনের জায়গা দড়ি দিয়ে ঘিরে ফেলে পার্কিং জোন তৈরি করে ফেলে এক দল যুবক। সেখানে গাড়ি রাখার বিনিময়ে শপিং মলে আসা ক্রেতাদের থেকে দিনের পর দিন ওই যুবকেরা টাকা রোজগার করছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলাকাবাসীর আরও দাবি, রাজ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতার হাতবদল হওয়ার পর থেকেই এই পার্কিং জোনটি খোলা হয়। আপত্তি জানালে ওই যুবকেরা তাঁদের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।
আরও অভিযোগ, গাড়ি রাখলে একটি ছাপানো রসিদ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই রসিদের কোনও বৈধতা নেই। কারণ, তাতে সংস্থার ঠিকানা বা নথিবদ্ধকরণ নম্বর, কিছুই নেই। পুলিশ এর আগে একাধিক বার সেই পার্কিং ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু দিন দুয়েকের মধ্যেই তারা ফের ফিরে এসেছে। বেআইনি পার্কিং জোন চালানো ওই যুবকেরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক বলেও বাসিন্দাদের অভিযোগ।
পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওই জায়গায় তাদের অনুমোদিত কোনও পার্কিং জোন নেই। ডেপুটি মেয়র শেখ সুলতান বলেন, “জায়গাটি এডিডিএ-র। তারা কোনও রকম অনুমতি দিয়েছে কি না, তা বলতে পারব না।” এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তথা আসানসোলের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ বিষয়ে তাঁর বিশেষ কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের মদতেই ওই পার্কিং জোনটি চলছে, এমন অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি দলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ববাবু। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমি প্রথম শুনলাম। বেআইনি ভাবে কেউ পার্কিং জোন চালালে তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। খোঁজ নিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।” |
|
|
|
|
|