রাজ্যে ‘চিটফান্ড’-এর ‘বাড়বাড়ন্ত’ বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের হস্তক্ষেপ চাইলেন মালদহের সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী।
শুক্রবার গাজলে আবু হাসেম অভিযোগ করেন, “চিটফান্ড বন্ধ না হলে পশ্চিমবঙ্গ শেষ হয়ে যাবে। চিটফান্ডগুলোর ‘ডিপোজিট’ নেওয়ার অনুমতি নেই। ওরা বেআইনি ভাবে টাকা তুলছে। ওরা যা করছে তা ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’। কম সময়ে বেশি লাভের আশায় সাধারণ মানুষ সোনাদানা, জমি-জায়গা বিক্রি করে চিটফান্ডে টাকা জমাচ্ছেন। পরে তাঁরা সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন।” আবু হাসেমের দাবি, ব্যক্তিগত ভাবে তিনি প্রথমে মালদহ জেলায় একাধিক ‘চিটফান্ড’ সম্পর্কে অভিযোগ পান। পরে নিজস্ব সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রাজ্যের আরও কিছু ‘চিটফান্ড’-এর কথা। দিন কুড়ি আগে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ৮টি নির্দিষ্ট ‘চিটফান্ড’-এর ব্যাপারে অভিযোগ করেন। ওই চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যে প্রচুর ‘চিটফান্ড’ গজিয়ে উঠেছে। বেশি সুদের লোভ দেখিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে ‘ঠকাচ্ছে’। পরে আরও ১০৭টি ‘চিটফান্ড’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তদন্ত দাবি করেন কেন্দ্রীয় কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলির কাছে। আবু হাসেমের দাবি, “আমার চিঠি পাওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে পর পর দু’বার চিঠি পাঠিয়ে চিটফান্ডের বিষয়ে জানতে চেয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার চিটফান্ডের ব্যাপারে কোনও উত্তর প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়কে দিয়েছে, এমন খবর আমার কাছে নেই। অথচ, চিটফান্ডের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠি পাওয়ার পরেই অসম সরকার ভাল পদক্ষেপ করেছে।” ‘ক্ষুব্ধ’ কংগ্রেস সাংসদের ঘোষণা, “চিটফান্ডের বিষয়টি আমি নিজেই সংসদে তুলব।” আজ ,শনিবার প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকেও ‘চিটফান্ড’-এর প্রসঙ্গ তুলতে চান তিনি। |