পাহাড় নিয়ে সিপিএমকে দোষারোপ আরএসপি’র
পাহাড় সমস্যার জন্য দার্জিলিং জেলা সিপিএমও দায়ী বলে অভিযোগ তুলল খোদ বাম শরিক আরএসপি। দলের অভিযোগ, ভোট রাজনীতির সঙ্কীর্ণ স্বার্থে পাহাড়ের পরিবেশ কাজে লাগিয়ে ডানদলগুলির মত বামেরাও ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে। জেলা বামফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছাড়াও এককভাবে একসময় সিপিএম সুবাস ঘিসিংকে সরাতে পাহাড়ের দলগুলির সঙ্গে একটি গণতান্ত্রিক মঞ্চ গড়েছিল। তাতে সেই সময় বিমল গুরুঙ্গের দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও ছিল। চকবাজারে সভাও হয়। এই সবই পাহাড় সমস্যার মূলে রয়েছে বলে আরএসপি মনে করছে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আরএসপি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তাপস গোস্বামী বলেন, “একসময় বামফ্রন্ট গতভাবে পাহাড়ে আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন, উন্নয়নের দাবিতে প্রচার অভিযান শুরু হয়। নাগরিক কনভেনশনও হচ্ছিল। হঠাৎ বড় শরিক কিছু না জানিয়ে তা বন্ধ করে দিয়ে মোর্চা, সিপিআরএম, গোর্খা লিগের সঙ্গে মঞ্চ তৈরি করে। পাহাড়ে সভাও হয়।” জিটিএ চুক্তির পর বর্তমানে যা অবস্থা দাঁড়িয়ে তাতে দলের বক্তব্য আমাদের পরিষ্কার করতেই হচ্ছে তাপসবাবু জানিয়েছেন। যদিও শরিকের অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা সিপিএম নেতারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য কোঝিকোড় থেকে টেলিফোন বলেন, “এখনই আমরা কোনও মন্তব্য করছি না।” দলের জেলা নেতা বিকাশ সেন রায়, দিলীপ রায়’রা বলেন, “পাহাড়, সমতল বিভাজন হতে দেব না জাতীয় নানা কথা আমরা অনেকের মুখে শুনেছি। আদতে তা ভোটের রাজনীতি ছাড়া কিছুই ছিল না। একই ভাবে বর্তমান রাজ্য সরকারও অগণতান্ত্রিক কাজকর্ম করছে। মোর্চাকে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।” পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে জিটিএ নির্বাচনের দাবি তুলেছে আরএসপি। তাপসবাবু বলেন, “বর্তমান রাজ্য সরকার সমস্যা তৈরি করেই করেছে। তরাই এবং ডুয়ার্সের এলাকা নির্ধারণের কথা বলে কমিটি গড়ে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। আগামীতে দুই দফায় ৪৮ ঘন্টার বন্ধ ডাকা হয়েছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।” উল্লেখ্য, জিটিএতে তরাই এবং ডুয়ার্সের অর্ন্তভুক্তির বিরোধিতা করে ১০ এবং ১১ এপ্রিল উত্তরবঙ্গে বন্ধ ডেকেছে ১১টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। আবার এর বিরোধিতায় মোর্চা এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলি ১৮ এবং ১৯ এপ্রিল বন্ধ ডেকেছে। এই বন্ধের রাজনীতির জেরে এলাকায় পর্যটন শিল্প প্রচন্ডভাবে মার খাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করল ইস্টার্ণ হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের তরফে এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি কাছে ‘পর্যটন শিল্প’কে বন্ধের বাইরে রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। সংগঠনের পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু জানান, সবে পর্যটন মরশুম শুরু হয়েছে। লাগাতার ওই বনধের ঘোষণায় ৩০ শতাংশ বুকিং ইতিমধ্যে বাতিল হয়েছে। আরও বাতিল হবে মনে হচ্ছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষ বিশাল লোকসানের মুখে পড়েছেন। গত চার বছর পাহাড়ের আন্দোলন, ভূমিকম্প মিলিয়ে পরিস্থিতি খারাপই ছিল। তাই সমস্ত দলের কাছে আমাদের আবেদন, এই অঞ্চলে পর্যটন শিল্পকে আপৎকালীন পরিষেবা হিসাবে গণ্য করে বন্ধ রাজনীতির বাইরে রাখার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.