জোটে বিবাদ প্রকাশ্যে
শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস-তৃণমূলের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। শুক্রবার মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কার্যনির্বাহী সমিতি গঠনের জন্য ‘কো-অপ্ট’ পদ্ধতিতে ১২ জন সদস্য বাছতে দুই পক্ষের মতানৈক্যের জেরে ভোট করতে হয়। তাতে দেখা গিয়েছে একটি প্যানেলে জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সুবীন ভৌমিক থেকে কংগ্রেস নেতা সমর্থকদের প্রধান্য। কংগ্রেস নেতা তথা ক্রীড়া পরিষদের বিদায়ী সচিব নান্টু পাল, কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত সাহারা ওই প্যানেল জমা করেন। অন্য প্যানেলটিতে প্রদীপ দে, প্রদীপ চক্রবর্তীর মতো তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-সমর্থকদের প্রধান্য দেখা গিয়েছে। সেটি পেশ করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অমর চন্দ্র পাল, অরূপ রতন ঘোষরা। যাদের হয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা হিয়েছে সৌমিত্র কুণ্ডুর মতো তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদেরও। ভোটের ফলাফল অবশ্য তৃণমূল মনোভাবপন্নদের পক্ষেই গিয়েছে। ১২ জনের মধ্যে তাদের প্যানেলের ৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন। নান্টুবাবুদের প্যানেলের ৪ জন। তবে এ দিন সর্বোচ্চ ৩০ ভোট পেয়ে জেতা পার্থ ভৌমিকের নাম অবশ্য উভয় প্যানেলেই রাখা হয়েছিল। কংগ্রেস মনোভাবাপন্নদের প্যানেলে নাম রাখা হয়েছিল বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যেরও। তবে অপর প্যানেলের তরফে অরূপ রতন ঘোষ আপত্তি তোলেন। তাঁর অভিযোগ, রুদ্রবাবুর অনুমতি না নিয়েই নাম দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার তথা মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত ফোনে রুদ্রবাবুর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন যে রুদ্রবাবুর অনুমতি নেই। সেই হিসাবে তাঁর নাম বাদ পড়ে। অন্য দিকে তৃণমূল মনোভাবাপন্নদের প্রাধান্য রয়েছে যে প্যানেলে তাতে নাম ছিল কংগ্রেস নেতা কুন্তল গোস্বামীর। কংগ্রেস মনোভাবাপন্নদের প্যানেলে রুদ্রবাবুর নাম বাদ পড়তেই তাদের ভোটারদের নান্টুবাবুরা কংগ্রেস নেতা কুন্তলবাবুর হয়ে ভোট দেবার আবেদনও জানান। নান্টুবাবু বলেন, “কো-অপ্ট পদ্ধতিতে প্রতিনিধিদের নাম ঠিক করতে নির্বাচন হোক চাইনি। আলোচনায় দুই পক্ষের ৬ জন করে প্রতিনিধির নাম চূড়ান্ত করে রাখার আবেদন করেছিলাম। অপর পক্ষ তাতে রাজি না হওয়ায় ভোট করতে হয়েছে।” নির্বাচনকে ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূল বিরোধ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “খেলার মাঠকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখাই ভাল। কিন্তু ক্লাব প্রতিনিধি নির্বাচন থেকেই সেটা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওঁরা নিজেদের ঘনিষ্ট ব্যক্তিকে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছে। অথচ সেখানে খেলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপেক্ষা করা হয়েছে। এটা কাম্য নয়।” খেলার মাঠে রাজনীতির অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি তৃণমূল নেতা অরূপ রতন ঘোষরা। তিনি বলেন, “কংগ্রেস-তৃণমূলের বিরোধের ব্যাপার নেই। আমাদের প্যানেলে থাকা কুন্তলবাবু তৃণমূল করেন না। অন্যান্য আরও অনেকে রয়েছেন।” বিধায়ক শঙ্করবাবু অবশ্য নির্বাচনে ১৮ টি ভোট পেয়ে হেরে গিয়েছেন। শঙ্করবাবু বলেন, “দুই বিধায়ককে কো-অপ্ট পদ্ধতিতে ক্রীড়া পরিষদের কমিটিতে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল। ভোট হচ্ছে বলে জানতাম না।” ১১ জন জয়ী প্রার্থীকে বাদ দিয়েও ১৮ টি করে ভোট পেয়ে ১২ নম্বরে ছিলেন ৯ জন। তার মধ্যে দুই প্যানেলের ২ জন আইনজীবীও রয়েছেন। কো-অপ্ট পদ্ধতিতে একজন আইনজীবী নেওয়া বাধ্যতা মূলক। তাই দুই আইনজীবীর মধ্যে লটারি করে এক জনকে সদস্য করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.