চিকিৎসা করাতে আসা এক বধূকে চেম্বারের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। পাত্রসায়র থানার বেতুড় গ্রামের ঘটনা। শুক্রবার দুপুরে ওই বধূ পাত্রসায়র থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসক অরুণ ঘোষকে। ধৃতের বাড়ি পাত্রসায়রের বেতুড় গ্রামে। জেলা পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “এক বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগকারিণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেতুড় গ্রামে ওই প্রৌঢ় চিকিৎসকের ‘চেম্বার’ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সেখানে চিকিৎসা করে আসছেন। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বছর দশকের ভাসুরঝিকে সঙ্গে নিয়ে বছর কুড়ির ওই বধূ তাঁর ‘চেম্বারে’ যান। তাঁর অভিযোগ, “চেম্বারের বাইরে ভাসুরঝিকে বসতে বলে ওই চিকিৎসক আমাকে ভিতরে ডাকেন। সেখানে তিনি আমাকে জবরদস্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমি প্রাণপণে বাধা দিয়ে কোনওরকমে চেম্বার থেকে বেরিয়ে গিয়ে আশেপাশের লোকজনকে ঘটনার কথা জানাই। ভয় পেয়ে বাড়ি চলে যাই। পরে স্বামী বাড়ি ফেরার পরে তাঁকে সব কথা জানাই।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় ভাবে ঘটনার কথা জানতে পেরে পাত্রসায়র থানার ওসি মানবেন্দ্রনাথ পাল বেতুড় গ্রামে যান। তিনি বধূর সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ গ্রহণ করেন। পরে দুপুরে গ্রাম থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বধূকে প্রথমে পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। পরে তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, ওই বধূকে ধর্ষণের চেষ্টার প্রমাণ মিলেছে। তবে ধর্ষণ করা হয়নি। অভিযুক্ত প্রৌঢ় অবশ্য দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আজ শনিবার, ধৃতকে বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হবে। |