|
|
|
|
|
|
|
নাটক সমালোচনা... |
|
দুই গল্পের মজা |
পিনাকী চৌধুরী |
গোবরডাঙা ‘কথাপ্রসঙ্গ’ প্রযোজনা করেছে দু’টি নাটকের। প্রথমটি ‘চোকলা’। শিশুশ্রম নিয়ে এই নাটক। চোকলা এক হত দরিদ্র ছেলে। দোকানে কাজ করে। তার বাবা দ্বিতীয় বার বিবাহ করে। চোকলার গর্ভধারিনী মা প্রতিবেশীর বাড়িতে ঠিকা কাজ করে। চোকলার জীবনে মালিকের চোখরাঙানি ও অকথ্য অত্যাচার যেন রোজনামচায় পরিণত হয়। অন্য দিকে মালিকের ছেলে হাবাগোবা বাবলু প্রতিদিন স্কুলে যায়। বাবলু আর চোকলার গভীর বন্ধুত্ব। চোকলা স্বপ্ন দেখে যে, সে এক দিন প্রতিষ্ঠিত হবে। এক দিন হঠাৎ দোকান মালিকের মোবাইল ফোনটি খুঁজে না পেয়ে সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে চোকলার উপর। তার পর অমানবিক অত্যাচার শুরু হয়। কিন্তু শেষে দেখা যায় বাবলু তার বাবার মোবাইলটি লুকিয়ে রেখেছিল। |
|
চোকলার ভূমিকায় অমিত ঢালীর প্রাণবন্ত অভিনয় ভাল লাগে। চোকলার মায়ের ভূমিকায় লতিকা বসু যথাযথ। জগার ভূমিকায় জয়দীপ অধিকারী।
দ্বিতীয় নাটকটি লীলা মজুমদারের ছোট গল্প অবলম্বনে ‘ঘোতন কোথায়?’ আজকের প্রজন্মের শিশুদের সিলেবাসের চাপে যেন সুন্দর শৈশবটাই চুরি হয়ে গেছে। গল্পের কিশোর ঘোতন বেড়ে ওঠে এরকমই এক পরিবেশে। এক দিন স্কুলে যাবার পথে ট্রামে তার সঙ্গে দেখা হয় এক অদ্ভুত দর্শনের মানুষের সঙ্গে। এর পর হঠাৎই এক জন একচোখা লোক উপস্থিত হয়ে ঘোতনকে দীক্ষিত করতে চায় মানুষ মারার মন্ত্রে। ঘোতনের নরম মন যেন ডুকরে কেঁদে ওঠে। সে এ সব মেনে নিতে পারে না। হঠাৎ তার মন কেমন করে ওঠে বাড়ির জন্য। এই স্বপ্ননিল যাদু জগৎ থেকে সে ফিরে আসে বাস্তবে। ঘোতন অমিত ঢালী ও মাস্টারমশাই অভিজিত কর্মকার যথাযথ। রহস্যময় লোক নীলাঞ্জন ভৌমিকের অভিনয় দর্শকদের অভিভূত করে। দু’টি নাটকেই নির্দেশনা দিয়েছেন বিকাশ বিশ্বাস। |
|
|
|
|
|