|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
গিরিশ পরম্পরা |
অ্যাকাডেমি থিয়েটার আয়োজিত ‘গিরিশ পরম্পরা’ মঞ্চস্থ হল অ্যাকাডেমি আর বিড়লা সভাগারে। প্রদর্শিত হল দেবজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথ্যচিত্র ‘গিরিশচন্দ্র’। চিত্রগ্রাহক সৌমেন্দু রায়, শিল্প নির্দেশক রবি চট্টোপাধ্যায়, সূত্রধর ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। গিরিশের ভূমিকায় চমক লাগিয়েছেন অর্ধেন্দু চট্টোপাধ্যায়। পরিবেশিত হল গিরিশের মঞ্চগানের আসর।
পর্দা সরলে দেখা যায় গিরিশ ভবনের আদল। বিলু দত্তের মঞ্চ ও বাবলু রায়ের আলোয় তৈরি আবহে ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় গাইলেন গিরিশের ‘কালো কোকিল তানে’। দীনবন্ধু মিত্রের ‘সধবার একাদশী’-র নাট্যদাবিতে লেখা এ গান পরবর্তী কালে আপন নাটক ‘ভ্রান্তি’তেও ব্যবহার করেন গিরিশ। পরের গানটি গিরিশের প্রথম মৌলিক নাটক ‘আগমনী’-র ‘কুস্বপন দেখেছি গিরি’ গেয়ে মাতিয়ে দিলেন দেবজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। |
|
এর পর ঋদ্ধির কণ্ঠে ‘এত কেন গরব লো’ (মেঘনাদ বধ), ইমন-বেহাগে ‘হায় রে হায় প্রেমিক’ (নল দময়ন্তী), ‘হরি মন মজায়ে’ (চৈতন্যলীলা) প্রভৃতি গান। আর দেবজিতের গায়নে ‘কাঁটাবনে তুলতে গেলাম’ (বিষবৃক্ষ), ‘কি ছার আর’ (বিল্বমঙ্গল), ‘মন আমার দিন কাটালি’ (প্রফুল্ল), ‘রাম রহিম না জুদা’ (আবু হোসেন), আড়ানা-বাহারে ‘আসছে ওই নবাব বাহাদুর’ (সিরাজদ্দৌলা) জীবন্ত হয়ে উঠল কখনও রাগবিস্তারে, কখনও বাউল-কীর্তনে, কখনও সংলাপধর্মিতায়।
দেবজিত্ গাইলেন নিবেদিতাকে উৎসর্গীকৃত গিরিশ-গীতি ‘অবনত সসাগরা অবনী’। এ এক বিরল অভিজ্ঞতা। সমাপ্তিতে যুগল কণ্ঠে গীত হল ‘বেল্লিক বাজারে’র ‘ওম্যান অ্যান্ড ওয়াইন’। দীপঙ্কর দে-র ভাষ্যপাঠ সাবলীল। যন্ত্রাণুসঙ্গে দেবাশিস সাহা, সৌরভ ঘোষ, তরুণ চৌধুরী এবং তবলায় দীপঙ্কর দে আর ঋদ্ধদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। |
|
|
|
|
|