টুকরো খবর
একশো দিনের প্রকল্পে ‘সাফল্য’ রামনগরের
একশো দিনের প্রকল্পে বিগত আর্থিক বছরে (২০১১-১২) রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতি মোট ৭ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করে ৫ হাজার ১৭৮টি পরিবারকে ৬৯ দিনের কাজ দিতে পেরেছে এবং ২৪০টি পরিবারকে এমনকী ১০০ দিনই কাজ দেওয়া গিয়েছে বলে জানালেন বিডিও রানা বিশ্বাস। বুধবার ব্লক অফিসে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি-র উপস্থিতিতে এক উন্নয়ন-বৈঠকে এই তথ্য তুলে ধরেন বিডিও। বৈঠকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস জানান, একশো দিনের প্রকল্পে যারা কাজ পেয়েছেন বা করছেন তাদের ৭২ শতাংশই মহিলা। এই প্রকল্পে ৪৫ হেক্টর জমিতে বনসৃজন, ৯৮টি পুকুরে ৭২০০ কিউবিক মিটার মাটি খনন হয়েছে বলে বিডিও এবং সভাপতির বক্তব্য। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নয়, রাজ্যের মধ্যেই এক প্রকল্পে কর্মসংস্থানের গড়ে প্রথম স্থানে থাকার আশা করছেন তাঁরা। দেবব্রতবাবু বলেন, “গত আর্থিক বছরে রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতি রাজ্যে সেরা হয়েছিল। এ বারও সে রকম আশাই রয়েছে।” বিগত আর্থিক বছরে ইন্দিরা আবাস যোজনায় ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা খরচ করে ১০৮৪ জনকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের ৬২ লক্ষ টাকায় ৭৯টি প্রকল্পের কাজ করা ছাড়াও অনুন্নত এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ৬১ লক্ষ টাকায় ৭৬টি প্রকল্পের এবং রাজ্য অর্থ-তহবিলের ৪৯ লক্ষ টাকায় ৩০টি প্রকল্পের কাজ হয়েছে বলে সভাপতি জানান। শিশু শিক্ষাকেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের নির্মাণ ও মেরামতের জন্য ৭১ লক্ষ টাকা খরচ করা ছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিল থেকে ৭৫ লক্ষ টাকায় মার্কেট-কমপ্লেক্স ও ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঢালাইয়ের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নদীচরে আটকে ওল্টাল ট্রলার, উদ্ধার সব যাত্রী
নদীর চরে ধাক্কা লেগে ট্রলার উল্টে যাওয়ায় আহত হলেন বেশ কয়েক জন। ট্রলারটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগর থেকে হলদিয়ার পাতিখালিতে আসছিল। ৮৫ জন যাত্রীর মধ্যে বেশিরভাগই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পান ব্যবসায়ী। শুক্রবার ভোরে পান নিয়েই ট্রলারটি আসছিল। এই দুর্ঘটনায় আহত ৭ জনকে ভর্তি করা হয় হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে। পরে অবশ্য তাঁদের সবাইকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চরে ধাক্কা খাওয়ার পরে ট্রলারটি কাত হয়ে পড়লে অনেকেই চরে পড়ে যান। তাঁদের কেউ কেউ সাঁতরে পাড়ে পৌঁছন। বাকিদের উদ্ধার করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে তিনটে নাগাদ সাগরের কচুবেড়িয়া থেকে রওনা দিয়েছিল ‘মা গঙ্গা’ নামের ট্রলারটি। পান বোঝাই ছিল ট্রলারে। পান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ভাটা চলছিল। অন্ধকারে ঠাওর করতে না পেরে ট্রলারটি পাতিখালি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি চরে আটকে যায়। তার পর ডান দিকে কাত হয়ে পড়ে। পানের বোঝা নদীতে পড়ে যেতে দেখে ব্যবসায়ীরা ঝাঁপ দেন। পানের সঙ্গেই ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রিবহনেরও অভিযোগ উঠেছে। পান ব্যবসায়ীদের অনেকও স্বীকার করেছেন, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণেই ট্রলারটি কাত হয়ে গিয়েছিল। বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। খবর পেয়ে হলদিয়া থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে। খানসাবাদের সুদর্শন মণ্ডল, চণ্ডীপুরের নিতাই দাস, মনসাদ্বীপের উত্তম সিংহ, ফুলডুবির বিষ্ণুপদ সামন্ত, হরিণবাড়ির সুভাষ গিরি, মালেশ্বর গিরি, হরিপদ সিংহদের হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আলদারপুটের সেতু নিয়েও এ বার সংশয়
রামনগর-সেতুর পর এ বার জটিলতা দেখা দিয়েছে দেশপ্রাণ ব্লকের আলাদারপুট সেতু নির্মাণে। কয়েক বছর আগেই ভেঙে পড়েছিল আগের সেতু। নতুন সেত নির্মাণের জন্য পূর্ত দফতর ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। ৩২ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া নতুন সেতু দেড় বছরর মধ্যে নির্মাণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেতু তৈরি করতে গেলে ২৫টি দোকান সরাতে হবে। সেই দোকানদারেরা যাতে কয়েক হাজার মানুষের স্বার্থে স্বেচ্ছায় দোকানঘর সরিয়ে নেন, সে জন্য বুধবার দোকানদারদের নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিডিও অনাদি মাহাতো, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানা, পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার অরবিন্দ দে, দুই গ্রামপ্রধান কল্লোল পাল ও রীতা জানা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বৈঠকে দোকানদারেরা নিজেদের বক্তব্য খোলসা না করায় সেতু নির্মাণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

পথ দুর্ঘটনায় শিক্ষকের মৃত্যু
পথ দুর্ঘটনায় এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হল। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি-রগড়ার মাঝে বাঁকিপোলের কাছে টুটুহার জঙ্গল রাস্তায়। নিহতের নাম বিশ্বজিৎ নায়েক (২৫)। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরে। এ দিন গুড ফ্রাই-ডে’র ছুটি থাকায় ঝাড়গ্রাম থেকে সাঁকরাইলের রোহিনীতে আত্মীয়ের বাড়ির উদ্দেশে মোটর সাইকেলে পাড়ি দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। বাঁকিপোলের কাছে মোটর বাইক সমেত বিশ্বজিৎকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে যৌথ বাহিনী। চিকিৎসকেরা বিশ্বজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পিচ রাস্তার ধারে থাকা মোরামে বাইকের চাকা পিছলিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান বিশ্বজিৎ। সম্ভবত সেই কারণেই রাস্তার ধারে শালগাছে মোটর সাইকেল-সহ ধাক্কা মারেন তিনি। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন না-থাকলেও আভ্যন্তরীণ রক্ত ক্ষরণের জন্যই বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হবে। মানিকপাড়া অঞ্চলের আখড়াশোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন বিশ্বজিৎ।

এক্সাইডে এক গোষ্ঠীর হার, জয় তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর
তৃণমূলপন্থী এক কর্মী সংগঠন হারাল তৃণমূলপন্থী আর এক সংগঠনকে। হারাল সিটু-কেও। হলদিয়ার অন্যতম শিল্প-প্রতিষ্ঠান ‘এক্সাইড’-এ স্থায়ী কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্বমূলক ইউনিয়নের নির্বাচনে শুক্রবার জিতল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসাবে পরিচিত ‘জাতীয়তাবাদী প্রগতিশীল মঞ্চ’। তারা হারাল তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহার অনুগামীদের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শ্রমিক মঞ্চ’কে। ফল ১০-৭। গত বছর এখানে জিতেছিল সিটু-প্রভাবিত ‘গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল মঞ্চ’। তাদের ১৭ জন প্রার্থীর কেউই এ বার জিততে পারেননি। বিধানসভা ভোটের পরেই হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে একের পর এক কারখানায় সিটু-র প্রভাব খর্ব করে প্রভাব বাড়াচ্ছিল তৃণমূলের শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠন। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে সিপিএম তথা সিটু-র ‘সেনাপতি’ লক্ষ্মণ শেঠও এখন জেলে। তবে তার পরেও এক্সাইড-এ তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী আলাদা ভাবে প্রার্থী দেওয়ায় জয়ের আশা করেছিল সিটু-প্রভাবিত সংগঠন। কিন্তু শেষমেশ তাদের শূন্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে।

চণ্ডীপুরে মাটি খুঁড়ে মিলল হাড়গোড়
মাটি খুঁড়ে ফের হাড়গোড় মিলল পূর্ব মেদিনীপুরে। এ বার চণ্ডীপুরে। দিঘা-মেচেদা সড়কের ধারে কয়ালচক গ্রামে ১০০ দিনের প্রকল্পে খাল সংস্কারের কাজ চলছিল শুক্রবার। মাটি কাটার সময় শ্রমিকেরা ওই হাড়গোড় দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চণ্ডীপুর থানার পুলিশ ও বিডিও। মাথার খুলি-সহ বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। ওই দেহাবশেষ নির্দিষ্ট কারও বলে দাবি ওঠেনি। তবে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের বক্তব্য, “উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়ের সঙ্গে নন্দীগ্রাম-পর্বের যোগ রয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, দেহাবশেষ কার তা জানতে যথাযথ তদন্ত করা হবে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, মৃত ২
দুটি পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে ময়নায়। মৃত দুজন হলেন, পূর্ব দোবান্দি গ্রামের তরুণ গুড়ি (৩০) এবং মগরা গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক সামন্ত (৩৫)। পূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভিডিও চালানোর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তরুণ। বাড়িতে বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন কার্তিক।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.