পূর্ব কলকাতা
পুরবাজার
সংস্কারের অপেক্ষায়
ছাদের একাংশ ভেঙে চৌচির। পলেস্তারা খসে বেরিয়ে পড়েছে লোহার খাঁচা। জল চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে। তার মধ্যেই চলছে বিক্রিবাট্টা। বিক্রেতাদের অভিমত, এ রকমই চলছে। কবে মেরামত হবে তাঁরা জানেন না।
ছবিটা বিধাননগরের সিএ মার্কেটের। তবে একটি-দু’টি অংশে নয়, মার্কেটের বিভিন্ন অংশেরই এমনই অবস্থা। অবশ্য শুধু যে সিএ মার্কেটেরই এমন দশা তা নয়, বিধাননগরের অনেক মার্কেটের চিত্রই এমনই। শুধু ভাঙাচোরাই নয়, নানা দিক থেকে মার্কেটের অবস্থা একেবারেই সন্তোষজনক নয় বলেই অভিযোগ ক্রেতাদের একাংশের।
বিধাননগরের মার্কেট কমপ্লেক্সগুলি নিয়ে এমন অসন্তোষের ছবিটা দীর্ঘ দিনের। দায়িত্ব নেওয়ার একুশ মাস পরে সেই বাজারগুলি সংস্কারের কাজে হাত দিতে চলেছে বিধাননগর পুরসভা। ইতিমধ্যে কয়েকটি মার্কেট সংস্কারের কাজ অনেকাংশে হয়েছে। আর্থিক অভাবের জন্যই সংস্কারের কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে বলে দাবি পুরকর্তৃপক্ষের। পরে এই মার্কেট কমপ্লেক্সগুলির সম্প্রসারণ করারও পরিকল্পনা আছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
বিধাননগর তৈরি হওয়ার পরে বিভিন্ন ব্লকে লোকাল সেন্টার বা মার্কেট তৈরি করা হয়েছিল। মোট ১৬টি মার্কেট তৈরি হয়। সেগুলি সবই দোতলা। পোশাক সামগ্রী থেকে মুদির দোকানও দেওয়া হয়েছিল। নগরোন্নয়ন দফতরের আওতাধীন ছিল এই মার্কেট কমপ্লেক্সগুলি। পরে পরিকল্পিত এই উপনগরীতে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে চাহিদাও পাল্লা দিয়ে বাড়ে। মার্কেটগুলিতে সব্জিবাজার থেকে আহারাদির ব্যবসাও শুরু হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই আলাাদা করে চাতাল বাজারও তৈরি হয়ে যায়। ফলে চাপ বাড়ে মার্কেটগুলির উপর। কিন্তু অভিযোগ, পঞ্চাশ বছরে পা দিতে চলা এই উপনগরীর মার্কেটগুলিতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা সংস্কারের কাজ সে ভাবে হয়নি।
বিধাননগরের বাজারগুলি নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ বিস্তর। ইএ ব্লকের শান্তনু রায়ের কথায়: “বিধাননগর এখন বাণিজ্যিক নগরী। যেখানে সিটি সেন্টার ছাড়া ঝাঁ চকচকে শপিং মল তৈরি হয়েছে, সেখানে আমাদের স্থানীয় মার্কেটগুলির করুণ অবস্থা। এক দিকে মার্কেটগুলির রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বললেই চলে, অন্য দিকে মার্কেটের মধ্যে হাঁটাচলার জায়গায় দোকানের সামগ্রীর স্তূপ। চারধারে মার্কেটের আবর্জনা। ক্রেতা কমে যাওয়ার পিছনে এই বিষয়গুলিও কাজ করছে।”
বাসিন্দাদের দাবি সমর্থন করে বিক্রেতাদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই সংস্কারের কাজ হয় না। সৌন্দর্যায়নের দফারফা। পাশাপাশি, শপিং মলের মতো আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে ক্রেতার সংখ্যাও কমছে। বিধাননগর কেন্দ্রীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক
শ্যামলকান্তি রায় বলেন, “পুরসভা সংস্কার করলে ভাল। কিন্তু সম্প্রসারণ হলে বাজারে যে যেখানে আছেন, তাঁদের সেখানেই একই পরিমাণ জায়গা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা রমা বসুর কথায়: “মার্কেটের সর্বত্র পরিষ্কার নয়। মাছের কিংবা সব্জিবাজারের কাছে গেলে নোংরা গন্ধে হাঁটাচলা মুশকিল হয়। সল্টলেক এখন আধুনিক নগরী, সেখানে পুরনো আমলের এই মার্কেটের উন্নতি নিয়ে প্রশাসন নজর দিলে ভাল হয়।”
বাম আমলের পনেরো বছরেও ছবিটা ছিল একই। তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকায় পুরসভা মার্কেট সংস্কারের কাজ করতে পারছে না। সে কারণেই পুরসভার হাতে মার্কেটগুলি তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। মার্কেটগুলির দায়িত্ব পায় পুরসভা। বাসিন্দা ও বিক্রেতাদের বক্তব্য, নতুন পুরবোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পরে একুশ মাস পার হয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি কাউন্সিলরদের সভায় মার্কেট সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ স্বীকার করে বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “মার্কেটগুলির অবস্থা সন্তোষজনক নয়। অনেক দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। মার্কেটগুলি এখন আমাদের হাতে। এগুলি নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। তবে আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তা কার্যকর করা যায়নি। আপাতত মার্কেটগুলির সংস্কার ও মেরামতির কাজ করা হবে। পরে অর্থের যোগানের উপর নির্ভর করে মার্কেটগুলির উন্নয়ন নিয়ে একটি সার্বিক পরিকল্পনা করা হবে।” সৌন্দর্যায়নের দফারফা। পাশাপাশি, শপিং মলের মতো আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে ক্রেতার সংখ্যাও কমছে। বিধাননগর কেন্দ্রীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্যামলকান্তি রায় বলেন, “পুরসভা সংস্কার করলে ভাল। কিন্তু সম্প্রসারণ হলে বাজারে যে যেখানে আছেন, তাঁদের সেখানেই একই পরিমাণ জায়গা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা রমা বসুর কথায়: “মার্কেটের সর্বত্র পরিষ্কার নয়। মাছের কিংবা সব্জিবাজারের কাছে গেলে নোংরা গন্ধে হাঁটাচলা মুশকিল হয়। সল্টলেক এখন আধুনিক নগরী, সেখানে পুরনো আমলের এই মার্কেটের উন্নতি নিয়ে প্রশাসন নজর দিলে ভাল হয়।”
বাম আমলের পনেরো বছরেও ছবিটা ছিল একই। তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকায় পুরসভা মার্কেট সংস্কারের কাজ করতে পারছে না। সে কারণেই পুরসভার হাতে মার্কেটগুলি তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। মার্কেটগুলির দায়িত্ব পায় পুরসভা। বাসিন্দা ও বিক্রেতাদের বক্তব্য, নতুন পুরবোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পরে একুশ মাস পার হয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি কাউন্সিলরদের সভায় মার্কেট সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ স্বীকার করে বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “মার্কেটগুলির অবস্থা সন্তোষজনক নয়। অনেক দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। মার্কেটগুলি এখন আমাদের হাতে। এগুলি নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। তবে আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তা কার্যকর করা যায়নি। আপাতত মার্কেটগুলির সংস্কার ও মেরামতির কাজ করা হবে। পরে অর্থের যোগানের উপর নির্ভর করে মার্কেটগুলির উন্নয়ন নিয়ে একটি সার্বিক পরিকল্পনা করা হবে।”

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.