দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
|
সখেরবাজার |
জমি-জটে ছাউনি |
কৌশিক ঘোষ |
সমস্যা জমি নিয়ে। তাই আটকে রয়েছে বেহালার সখেরবাজারে যাত্রীছাউনি তৈরির কাজ।
সখেরবাজার মোড়ে কলকাতা পুরসভা একটি যাত্রীছাউনি তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। নকশাও তৈরি হয়েছে। কিন্তু জায়গাটি পূর্ত দফতরের অধীনে থাকায় কাজে হাত দিতে পারেননি পুরকতৃর্পক্ষ।
পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত জমি জটে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। আশা করি পূর্ত দফতরের সঙ্গে আলোচনায় জট খুলবে। পুরসভা এই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। পূর্ত দফতর অনুমতি দেওয়ার পরেই কাজ শুরু হবে।”
|
|
কিন্তু পরিকল্পনা করার আগে পুরসভা এ বিষয়ে ভাবেনি কেন?
শোভনবাবু বলেন, “কোন রাস্তা কোন দফতরের অধীনে তার রেকর্ড পুরসভার আছে। সেইমতো পরিকল্পনা করাও হয়েছে। শহর জুড়ে সুন্দর যাত্রীছাউনি তৈরির কাজও ইতিমধ্যে অনেকটা এগিয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনার মধ্যে নেই এমন অনেক জায়গায় বাসিন্দাদের দাবি মেনে নতুন করে পরিকল্পনা করতে হয়। তখন সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি পেতে সময় লাগে।”
সখেরবাজার থেকে টালিগঞ্জ এবং ডায়মন্ড হারবার রুটের বাস যায়। ট্যাক্সি এবং অটোরিকশাও দাঁড়ায়। এখানে একটি যাত্রীছাউনির দাবি দীর্ঘ দিনের। আগে পূর্ত দফতরের তৈরি যাত্রীছাউনি ছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা জীর্ণ হয়ে পড়ায় ছাউনিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই একটি যাত্রীছাউনি তৈরি করেন। সেটির হালও খারাপ হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া অভিযোগ, যাত্রীছাউনি জুড়ে হকার বসে থাকে। তারাতলার দিক থেকে ডায়মন্ড হারবার যেতে গেলে ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সখেরবাজারে রাস্তার ঠিক বাঁ দিকে এই বাস ছাউনিটি পড়বে।
|
|
কলকাতা পুরসভার সড়ক দফতরের এক আধিকারিক জানান, যে সব রাস্তা পুরসভার অধীনে নয় সেখানে সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি নিতে নির্মাণের নকশা দিয়ে আবেদন করতে হয়। তারা সমীক্ষা করে অনুমতি দিলে পুরসভা এগোতে পারে। শুধু বেহালা নয়, খিদিরপুর, ইকবালপুর এবং গল্ফগ্রিন এলাকায়ও একই সমস্যা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অমিয় পাত্রের কথায়: “যাত্রীছাউনির খুবই প্রয়োজন। এখনকার যাত্রীছাউনিতে দাঁড়াবার জায়গা নেই। হকার বসে থাকে। ছাউনি থেকে জল পড়ে।” ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেয়রকে জানিয়েছি। মেয়রও রাজি হয়েছেন। কিন্ত জমি জট না কাটায় কাজ শুরু হচ্ছে না।”
|
|
সখেরবাজারের ওপর একটি অংশ পুরসভার ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডেরও অন্তর্ভুক্ত। এখানে রাস্তার ডান দিকে একটি পুরনো বাসস্টপ রয়েছে। সেটির অবস্থাও ভাল নয়। ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শিপ্রা ঘটক বলেন, “আমার ওয়ার্ডে সখেরবাজারের যে অংশটি পড়ে সেখানে একটি পুরনো বাসস্টপ রয়েছে। পুরসভাই এটি রক্ষণাবেক্ষণ করে। আমি নতুন করে বাসস্টপ নির্মাণের কোনও প্রস্তাব করিনি। যেটি আছে সেটিরই আধুনিকীকরণ করার কথা ভেবেছি।”
রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার বলেন, “নিয়মানুযায়ী এই ধরনের কোনও প্রকল্পে পূর্ত দফতরের অনুমতি নিতে হয়। পুরকর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে জানালেই এই ধরনের কাজে অনুমতি দেওয়া হয়। তবে পদ্ধতি মানতে হয়। এতে কিছু সময় লাগে।”
|
ছবি: পিন্টু মণ্ডল
|
|