ট্রেভর মর্গ্যানকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা সরকারিভাবেই থামিয়ে দিল মোহনবাগান। কিন্তু কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা থামল না। ক্লাবের সহ সচিব সৃঞ্জয় বসু বলে দিলেন, “আমরা মর্গ্যানের ব্যাপারে আগ্রহীও নই। ওঁর সঙ্গে কথাও বলছি না। এগুলো মিথ্যা হাইপ তৈরি করা হচ্ছে।” এ দিকে, মর্গ্যানও বললেন, “সামনের বছর ভারতে কোচিং করালে আমি ইস্টবেঙ্গলেই থাকব।”
মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র আগে বলেছিলেন, পরের মরসুমেও টিডি-কোচ থাকবেন সুব্রত ভট্টাচার্য ও প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও মোহনবাগানে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, সুব্রতর ভবিষ্যৎ নিয়ে। কিছু কর্তা সুব্রতকে সরাতে দরবার করছেন প্রেসিডেন্ট, সচিব, সহসচিবের কাছে। সুব্রতর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে। হ্যালের সঙ্গে মোহনবাগানের ড্র হওয়ার পরে এই গুঞ্জন আরও বেড়েছে। বড় কর্তারা অবশ্য এ দিন কেউ মাঠে ছিলেন না।
মর্গ্যানকে রাখা হচ্ছে না, জানিয়ে দিলেও সুব্রতর ভবিষ্যৎ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি ক্লাব সহ সচিব। বলেন, “পরের বছর নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ওঁর সঙ্গে আলোচনা চলছে।” মোহনবাগান সচিব ছিলেন জলপাইগুড়িতে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি এ দিন বলেননি, সুব্রত থাকছেন। শুধু বলেন, “এখনই এ নিয়ে বলার সময় আসেনি। আগে মরসুম শেষ হোক, তার পরে বলব।”
এই বিতর্কে সুব্রত অবশ্য কোনও কথা বলতে নারাজ। তিনি এ দিন ড্র করার পরে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মাঠ ছেড়ে চলে যান। দলের বিপর্যয় নিয়ে কোনও কথা বলেননি। এত দিন সরকারি সাংবাদিক সম্মেলনে আসতেন প্রশান্ত। এ দিন পাঠানো হয় বার্নার্ডকে। হ্যালের বিরুদ্ধে ড্র করার পরে মাঠে কয়েকটি বোতল পড়ে। কিন্তু ফুটবলাররা বেরোনর সময় কোনও ঝামেলা হয়নি। |