এক দিকে, কুৎসিত ব্যাটিংয়ের ময়নাতদন্ত। অন্য দিকে, সাকিব-আল-হাসানকে খেলানোর দাবি উঠে যাওয়া। ঘরের মাঠে দিল্লির বিরুদ্ধে বিপর্যয়ের চব্বিশ ঘণ্টা পর নাইট শিবিরের ছবিটা এ রকমই।
ইডেনের উইকেট নিয়ে কোনও অভিযোগের জায়গা নেই। বরং টিমের ক্রিকেটারদের মনে হচ্ছে, উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য যে আদর্শ ছিল সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন ইরফান পাঠান। অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন, “কুড়ি রানের মধ্যে যদি তিন উইকেট চলে যায়, আর কী পড়ে থাকে ম্যাচে?” বৃষ্টিভেজা ইডেনের ফায়দা দিল্লি ডেয়ারডেভিলস তুলে নিয়ে চলে গেল কি না, এ জাতীয় প্রশ্নেও পাত্তা দেননি নাইট নেতা। বরং বলেছেন, “আমি মনে করি না। ম্যাচটা ক্লোজ ছিল শেষ পর্যন্ত। এ সব না বলে আমাদের উচিত, ম্যাচ থেকে ইতিবাচক দিকগুলো নেওয়া। যেমন লক্ষ্মীর দুর্ধর্ষ ব্যাটিং। দেবব্রত দাসের ফর্ম।”
ঘটনা হচ্ছে, নিজেদের শুধরে নেওয়ার জন্য খুব বেশি সময় পাচ্ছে না গম্ভীর এবং তাঁর দলবল। আগামী রবিবার জয়পুরে নেমে পড়তে হচ্ছে রাহুল দ্রাবিড়ের রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুর-দুপুর রাজস্থান রওনা হয়ে গেলে কী হবে, পিচ দেখতে যাওয়ার সুবিধা হয়নি। হোটেলে বসে টিভিতে মেপে নিতে হয়েছে প্রতিপক্ষকে। তবে অধিনায়ক গম্ভীর টিমের সঙ্গে যাননি। তিনি এ দিন ভোরেই উড়ে গিয়েছেন মুম্বই। বিজ্ঞাপনের কাজে। দিল্লি ম্যাচে যে সতেরো জনের দল বাছা হয়েছিল, জয়পুরেও তাঁদেরই রাখা হয়েছে।
তবে টিমের কোনও কোনও সদস্যের মনে হচ্ছে, সাকিবকে দিল্লি ম্যাচে না নামানোটা বড়সড় ভুল হয়েছে নাইট ম্যানেজমেন্টের। সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে তিনি ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’। তা ছাড়া ব্রেন্ডন ম্যাকালাম প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে কিছু করে দেখাতে পারেননি। কারও কারও বক্তব্য, গম্ভীর নিজে ওপেনিংয়ে গিয়ে সাকিবকে টিমে ঢোকালে ভাল বই খারাপ হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিমের এক সদস্য জয়পুর থেকে ফোনে বলেই দিলেন, “গত বারও সাকিব একই ভাবে ভুগেছিল। ভাল খেলেও টিমে জায়গা হয়নি। রাজস্থান ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ওকে খেলানো দরকার।’’ |