পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত বোলপুর পুরসভার উপ-পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে উপ-পুরপ্রধান নরেশচন্দ্র বাউরির বিরুদ্ধে তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা গণস্বাক্ষরিত চিঠি পুরপ্রধান, মহকুমাশাসক, মানবাধিকার কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা উপ-পুরপ্রধান নরেশচন্দ্র বাউরির দাবি, “অভিযোগ ঠিক নয়। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এর পেছনে সিপিএমের ইন্ধন রয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যে যখন জলভরো প্রকল্পকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ওয়ার্ডের পুকুর বোজানোর প্রশ্ন ওঠে না। পুরসভার পক্ষ থেকে ওই পুকুর সংস্কার করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে ওয়ার্ডের জামবুনি মোহনপুকুর সংস্কারের নামে জল শুকিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, দিন দু’য়েক পরে শহরের বেশ কিছু লোক এসে পুকুর মাপজোক করতে থাকেন। |
এই পুকুরকে ঘিরে বিতর্কে জড়ালেন উপ-পুরপ্রধান। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
বাসিন্দাদের দাবি, পুকুর মাপজোক করা হচ্ছে অথচ ওয়ার্ড কমিটির লোকজন কোথায় জানতে চাইলে বলা হয়, এখানে দোকান, আবাসন হবে। স্থানীয় বাসিন্দা ভরত ভাণ্ডারী, মণি রুজ্জামানদের অভিযোগ, “আমরা মাপজোক করতে মানা করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা শোনেননি। গত ২ এপ্রিল আমরা ওয়ার্ড কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসি।” প্রতিমা চট্টোপাধ্যায়, পারুল পাল, মনোরমা রায়রা বলেন, “কয়েক দশক ধরে ওই পুকুরের উপরে প্রায় ৫০০-৬০০ জন নির্ভরশীল। আচমকা পুকুর ভরাটের সিদ্ধান্ত নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছেন উপ-পুরপ্রধান। আমরা তা হতে দেব না।”
সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক উৎপল রুদ্র বলেন, “ওখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা তো উপ-পুরপ্রধানকে জিতিয়েছেন। তাঁদের দলের কর্মী-সমর্থক। আমরা কী ইন্ধন যোগাব। জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে বলে স্বাভাবিক ভাবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।” পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনও আবাসন হবে না।” মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
শিক্ষক সম্মেলন। জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সেলের রামপুরহাট পূর্ব চক্রের শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল শুক্রবার। মাড়গ্রামের চণ্ডীপুর প্রাথমিক স্কুলে সম্মেলনে ওই চক্রের ১২০ জন শিক্ষক প্রতিনিধি-সহ ছিলেন জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ চৌধুরী। |