ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমে পুরসভার আবর্জনা ফেলার কাজ আটকে দিলেন বাসিন্দারা। শুক্রবার সকাল থেকে ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয়া শিলিগুড়ি পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পুরসভার সাফাইয়ের গাড়ি বর্জ্য ফেলতে গেলে বাধা দেন তাঁরা। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত অনুরোধ করলেও তাঁরা মানতে চাননি। বরং ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর দাবিতে লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত সচেতনতা জাগরণ কমিটির তরফে লাগাতার আন্দোলন চলানোর কথা জানানো হয়েছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলতে না দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। শহরের সাফাই পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সচেতনতা জাগরণ কমিটির অভিযোগ, মাস দুয়েক আগেই দূষণের কারণে তাঁরা ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর দাবি তোলেন। সেই সময়ে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন ১৫ মার্চ থেকে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি মশামাছির উপদ্রব ঠেকাতে স্প্রে করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। |
শিলিগুড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সামনে এলাকার বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। ছবি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক। |
ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে এলাকার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কাজ না হওয়ায় তাই তাঁরা ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। মেয়র বলেন, “ডাম্পিং গ্রাউন্ডে দূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরির কাজ শুরু প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভাল কাজে বাধা দেওয়া ঠিক নয় বলে বাসিন্দাদের বুঝিয়েছি। তার আগে এলাকায় বসবাসের পরিবেশ ঠিক রাখতে যে সব আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সে কাজ কতদূর এগিয়েছে সেটা বাসিন্দাদের জানাতে শনিবার আলোচনায় ডাকা হয়েছে। আচমকা তারা এ দিন থেকে ফের আন্দোলন শুরু করলেন কেন বুঝতে পারছি না। আশা করি তাঁরা সহযোগিতা করবেন।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দৈনিক ৪০ টি গাড়ি গড়ে ৪ বার করে ময়লা ফেলা হয় ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। মাস দুয়েক আগেও আবর্জনা ফেলতে বাধা দেওয়া হলে শহরের বাসিন্দারা বিপাকে পড়েন। সচেতনতা জাগরণ কমিটির সম্পাদক সুজিত বিশ্বাস বলেন, “আমরা পুরসভার সঙ্গে সহযোগিতা করলেও তাঁরা আমাদের সমস্যার কথা বুঝতে চাইছেন না। সম্প্রতি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে স্প্রে করা হলে বাড়িতে মশামাছির উপদ্রব আরও বেড়ে গিয়েছে। তা ছাড়া এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পথবাতির বন্দোবস্ত কিছুই নেই। এ সব গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। পুরকর্মীরা মাঝে মধ্যেই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বর্জ্যে আগুন লাগাচ্ছেন। তাতে সমস্যা বেড়েছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর দাবিতে তাই আন্দোলন চলবে।” পুর কর্তৃপক্ষ জানান, দুষ্কৃতীরা সম্প্রতি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আগুন লাগিয়েছিল। পুলিশেও তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন। |