টুকরো খবর
শিকারি বাড়ির ছেলেমেয়ে নিয়ে কর্মশালা জঙ্গলে
‘চোরাশিকার’-কে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলার লক্ষ্যে উদ্যোগী হল কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষ। চোরাশিকারের সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলির মধ্যে থেকে বাছাই করে ৩০ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে আগরাতলি রেঞ্জে একটি কর্মশালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বনকর্তাদের আশা, সপ্তাহব্যাপী এই প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা শেষ করে এই বাচ্চারাই তাদের গ্রামে, পরিবারে, পড়শি ও স্কুলের অন্যান্যদের কাছে পশুপ্রেমের বার্তা বয়ে নিয়ে যাবে। কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ৯ এপ্রিল থেকে সাত দিন ধরে জাতীয় উদ্যান তথা বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন রেঞ্জে হাতির পিঠে বা জিপ সাফারিতে নিয়ে যাওয়া হবে বাচ্চাদের। দেখানো হবে অরণ্যের সম্পদ, সৌন্দর্য্য। পশু ও পাখি চেনানোর পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীদের বোঝানো হবে, এই অরণ্য তাদের। এখানকার প্রাণীদের রক্ষা করার ভারও তাদেরই হাতে। কাজিরাঙার আশপাশে থাকা গ্রামগুলিতে দিন দিন বাড়ছে শিকারিদের ঘাঁটি। নাগাল্যান্ড থেকে আসছে অস্ত্র ও অর্থ। বনরক্ষীদের অভিযান, গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুরোধ সত্ত্বেও গ্রামের মানুষ স্রেফ টাকার লোভে গন্ডার মারছে। এ দিকে, দারিদ্র্যের কারণে ছেলেমেয়েদের জঙ্গল ঘোরানোর কথা তারা ভাবতে পারে না গ্রামবাসীরা। কাজিরাঙা কর্তাদের আশা: এখন থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অরণ্যরক্ষা সম্পর্কে সচেতন করে তুললে, পরে তাদের নিয়ে এই সমস্যা থাকবে না। জঙ্গল-সাফারির পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গল্পের মাধ্যমে তারা নানা বিষয় জানবে। জঙ্গল থেকে গন্ডার, বাঘ বা অন্য প্রাণী গ্রামে হাজির হলে প্রাথমিক ভাবে কী করা উচিত সে সবও ছাত্রছাত্রীদের শেখানো হবে।

হনুমানের আতঙ্কে তঠস্থ খড়গ্রাম
পাকা পেয়ারা, পেপে দু’দিন গাছে রেকে খাবে এমন উপায় নেই। চোখের আড়াল হলেই বারান্দা বা ঘর থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে কলা-আলু সবই। শুধু তাই নয়, হালে তাদের চড়-থাপ্পরেও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পাড়া পড়শি। সব মিলিয়ে খড়গ্রাম ব্লকে হনুমানের অত্যাচারে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। যখন তখন ফল, সব্জি নিয়ে চম্পট দেওয়াতে মানুষ প্রায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক ধরে সাধারণের উপরে গুম্ডামিটা ঠিক মেনে নিতে পারছেন না পাড়ার লোক। ইতিমধ্যেই জনা ত্রিশ গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। তাদের আক্রণণ থেকে ছাড় পায়নি মহিলা থেকে পুলিশকর্মী কেউই। হনুমানের কামড়ে হাসপাতালে ভর্তি গ্রামেরই মিলি দত্ত। তিনি বলেন, “ছাদ থেকে কাপড় আনতে গিয়ে সামনে পনে গিয়েছিলাম একটি হনুমানের। হঠাৎই লাফিয়ে এসে সারা গায়ে আঁচড়ে-কামড়ে, এলোপাথরি চড়-থাপ্পড় মেরে ফিরে গেল সে। মারতে থাকে। আমার চিৎকারে বাড়ির লোক ছুটে না এলে হয়তো মরেই যেতাম।” হনুমানের খপ্পড়ে পড়েছেন পুলিশকর্মী প্রলয় সরকারও। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আপাতত বাড়িতেই আছেন তিনি। খড়গ্রাম থানার ওসি বাবিন মুখোপাধ্যায় বলেন, “দু’সপ্তাহ ধরে হনুমানের অত্যাচার বড্ডই বেড়ে গিয়েছে।” বিষয়টি বন দফতরের কানেও গিয়েছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখনও। বন দফতরের কান্দির রেঞ্জ অফিসার শুভাশিস ঘোষ বলছেন, “কই এমনতো তো শুনিনি!” এলাকাবাসীরা জানান, বাড়িতে কোনও সবজি, ফল বাইরে রাখার উপায় নেই। একেবারে ঘরে তালা বন্ধ করে রাখতে হয়। তালা বন্ধ না থাকলে দরজা খুলে সবকিছু ‘ডাকাতি’ করে নিয়ে যাচ্ছে তারা।

সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু তরুণীর
সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর। বৃহস্পতিবার রাতে খানাকুলের রাধাবল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা আর্জিনা খাতুন (১৯) নামে ওই মহিলা নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। সেই সময়েই একটি সাপ তাঁকে ছোবল মারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাতেই তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মারা যান। পুলিশ দেহ ময়না-তদন্তে পাঠায়।

পশু চিকিৎসা শিবির
লালগেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেটেরেনারি অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শুক্রবার শালবনির অভয়া গ্রামে হয়ে গেল পশু চিকিৎসা শিবির। বিনামূল্যে পশুদের টিকাকরণ ও চিকিৎসা করা হয়। এ দিন গরু, ছাগল মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার পশুর চিকিৎসা করা হয়। এলাকার প্রাণিবন্ধুরাও এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.