|
|
|
|
|
|
খেলা |
জমাটি ফাইনাল |
চন্দন রুদ্র |
এক দিকে, টিকিয়াপাড়ার রাজ টেলার্স। অন্য দিকে, বালি গড়িফার মিলেনিয়াম বয়েজ ক্লাব। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে উঠেছিল বালি দেশবন্ধু ক্লাব আয়োজিত ১৬ দলের ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় মিলেনিয়াম বয়েজ ক্লাব। |
|
বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এই নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় হাওড়া ছাড়াও হুগলির তিনটি এবং কলকাতার একটি দল অংশগ্রহণ করে। প্রথম সেমিফাইনালে লিলুয়ার বন্ধুমহল ফুটবল কোচিং ক্যাম্পকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আসে রাজ টেলার্স। অপর সেমিফাইনালে একই ফলে বালির হোয়াইট বুলসকে হারায় মিলেনিয়াম ক্লাব। ফাইনালে ৩-০ গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় মিলেনিয়াম। মিলেনিয়াম হয়ে দু’টি গোল করেন সমীর হালদার। আর একটি গোল করেন মিলেনিয়ামের অধিনায়ক রাকেশ প্রসাদ।
ফাইনালের আগে বালি দেশবন্ধু ক্লাবের শিক্ষার্থীরা কবাডি, খো খো এবং ক্যারাটেতে অংশ নেয়। ক্লাব সদস্য মলয় রায়চৌধুরী জানালেন, এ বার মেয়েদের বাংলার খো খো দলে সাব জুনিয়রে মেঘা দাস, কাজল রজক, জুনিয়রে রিন্টি বেরা এবং সিনিয়রে অর্পিতা রায় সুযোগ পেয়েছেন। যদিও এই প্রতিযোগিতায় দেশবন্ধু ক্লাব দল কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যায়। |
|
ক্লাবের সভাপতি এবং মুখ্য ক্রীড়া আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, “হাওড়া থেকে আরও নতুন নতুন ফুটবলার তুলে আনার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।” ক্লাব সম্পাদক রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বললেন, “স্বামী বিবেকানন্দের নামে ২৫ হাজার বর্গফুটের ইন্ডোর স্টেডিয়ামটি নতুন ভাবে গড়ে তোলার জন্য আমরা শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাব।”
ফাইনালে স্থানীয় বিধায়ক সুলতান সিংহ, অলিম্পিয়ান নিখিল নন্দী, প্রাক্তন ফুটবলার সমর কুমার, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, লালকমল ভৌমিক, আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ছিল আতসবাজির প্রদর্শনীও।
|
ছবি: রণজিৎ নন্দী |
|
|
|
|
|