|
|
|
|
|
|
উদাসীন পুরসভা |
অস্বাস্থ্যের ব্যবসা |
শ্রীজীব মুখোপাধ্যায় |
গরম পড়তেই ফিরে এল পরিচিত ছবি। হাওড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে কাটা ফল ও শরবতের ব্যবসা। অভিযোগ উঠেছে, অধিকাংশ পানীয় ও কাটা ফল স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কিন্তু অনেকে তা কিনছেন। আশ্বাস দিলেও এই ব্যবসা বন্ধ করতে পুরসভা বিশেষ কিছুই করছে না। |
|
হাওড়া স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড চত্বর, পঞ্চাননতলা, পিলখানা, সালকিয়া, সন্ধ্যাবাজার, শিবপুর, বটানিক্যাল গার্ডেন, নেতাজি সুভাষ রোড, রামরাজাতলা, সাঁতরাগাছি প্রভৃতি এলাকায় রমরমিয়ে চলছে এই সব খাদ্য ও পানীয়ের ব্যবসা। স্কুলগুলির সামনেও বিক্রি চলছে। সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশনের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রণবশরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কাটা ফল দীর্ঘ ক্ষণ খোলা পড়ে থাকে। ছাত্রদের খেতে বারণ করি। বিষয়টি পুরসভার দেখা দরকার।” স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বসু বলেন, “সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাব আছে। পুরসভারও উদ্যোগী হওয়া দরকার।” |
|
পুরসভা সূত্রে খবর, ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও পুরসভার পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। ফুড ইনস্পেক্টরের পদটি প্রায় ২০ বছর ধরে খালি পড়ে আছে। পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক এই দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলান। ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয়ের নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘ দিন ধরে স্যানিটারি ইনস্পেক্টরের পদও খালি পড়ে আছে। পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভাশিস সরকার বলেন, “শহরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা ফল, রঙিন পানীয় বিক্রি হচ্ছে। আমরা প্রায়ই অভিযান চালাই। কিন্তু সরিয়ে দিলে আবার বসে পড়ে। সর্ব ক্ষণ আমাদের পক্ষে পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। এর জন্য চাই সচেতনতা।”
পুরসভার পরিকাঠামোর অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাওড়া পুরসভার মেয়র মমতা জয়সোয়াল। |
|
তিনি বলেন, “পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগকে বলেছি এপ্রিল থেকেই কাটা ফল, রঙিন পানীয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান শুরু করতে। সচেতনতার জন্য মাইকে প্রচার ও পুস্তিকা বিলি করা হবে। ব্যানার, হোর্ডিংয়েও প্রচার করা হবে। এটি পুরসভারই কাজ। তবে অভিযানের সময় আমরা পুলিশের সাহায্য চাইব। ফুড ও স্যানিটরি ইনস্পেক্টরের শূন্য পদ পূরণের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি।”
|
ছবি: রণজিৎ নন্দী |
|
|
|
|
|