‘কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ’ বলে দাবি করেছিল একটি সংস্থা। এক পক্ষ অভিযোগ তোলে, এই দাবি ভুয়ো। ওই সংস্থার নামে জালিয়াতিরও অভিযোগ আনে তারা। পুলিশ জানায়, তদন্তে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হলেও অভিযুক্ত সংস্থার কর্তারা কেউ তা দেখাতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত ওই সংস্থার ‘বিজয় সম্মেলন’ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার হয় সংস্থার ৬ সদস্য। অতিথিদের জন্য যে খাবার-দাবারের আয়োজন হয়েছিল, পুলিশের সামনেই কার্যত তা ‘লুঠ’ হয়ে যায়। আয়োজকেরা অধিকাংশই এলাকা ছেড়ে ‘পালান’। দু’টি গাড়িও আটক করেছে পুলিশ। |
সংস্থাটির সম্মেলন উপলক্ষে গত এক সপ্তাহ ধরে আরামবাগ শহরে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর ছবি দেওয়া তোরণও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সংস্থাটিকে ‘ভুয়ো’ দাবি করে আর একটি সংস্থা গত ৩ এপ্রিল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। সম্মেলন বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই মতোই এ দিন তদন্তে গিয়েছিল পুলিশ। আরামবাগের এসডিপিও আকাশ মাগারিয়া বলেন, “সংস্থাটি ভুয়ো বলে অভিযোগ আসে। আমরা কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলাম। ওঁরা কিছু দেখাতে পারেননি।” খাবারের প্যাকেট কারা নিয়ে গেল, সে ব্যাপারে পুলিশ জানে না বলে মন্তব্য করেন এসডিপিও। অভিযোগকারী সংস্থার তরফে পূর্ণচন্দ্র ভান্ডারি, তারাপদ দে-রা জানান, তাঁদের সংস্থাটিই ‘আসল।’ অন্য সংস্থাটি তাঁদের রেজিস্ট্রি নম্বর-সহ নানা তথ্য ব্যবহার করে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তুলছে। অভিযুক্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয় বীরভূমের সিউড়িতে। তার সম্পাদক শক্তিপদ বাগদি টেলিফোনে দাবি করেন, তাঁদের সংস্থাই ‘আসল’। সংস্থাটিকে ‘কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ’ লেখা হয়েছে কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে বার বার টেলিফোন কেটে দেন তিনি। |