সংরক্ষিত টিকিট, ট্রেনের কামরায় তবু আসন-বিভ্রাট
বাতানুকূল কামরায় উঠে তিন যাত্রী দেখলেন, তাঁদের টিকিটে যে আসন-নম্বর দেওয়া রয়েছে, সেই আসনগুলোর অস্তিত্বই নেই!
কামরা নম্বর জি-৯। আসন যথাক্রমে ৭৬, ৭৭ ও ৭৮। কামরা চষেও মিলল না ওই আসন। মিলবেই বা কী করে? কামরায় যে সাকুল্যে ৭২টি আসন রয়েছে! শেষ পর্যন্ত ত্রাতা হলেন টিকিট পরীক্ষক। এক যাত্রীকে তিনি নিজের জন্য নির্ধারিত আসন ছেড়ে দিলেন। পরে রাত বাড়লে আরও দু’টি আসন জোগাড় করে দেওয়ায় তিন যাত্রীকে আর রাতভর দাঁড়িয়ে সফর করতে হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা-গুয়াহাটি গরিবরথ এক্সপ্রেসের এই ঘটনায় কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষকেরাই রেলের তরফে ‘দুঃখপ্রকাশ’ করায় যাত্রীরা লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুব্রত হাজং বলেন, “এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। যাত্রীদের কোনও হয়রানিই কাম্য নয়। আমরা বিশদে খোঁজ নিচ্ছি। আগামী দিনে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে বলা হবে।”
কলকাতার বাগুইআটির বাসিন্দা রূপম বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দুই বন্ধু শিয়ালদহ স্টেশনের কম্পিউটারচালিত আসন সংরক্ষণকেন্দ্র থেকে ওই টিকিট কেটেছিলেন। রূপমবাবু বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনে ওঠার পরে আসন খুঁজে না পেয়ে ঘাবড়ে যাই। মালপত্র নিয়ে বসেছিলাম। টিটি তাঁর একটি আসন আমাদের ছেড়ে দেন। পরে আরও দু’টি আসনের ব্যবস্থা করে দেন। রেলের অন্য টিটি-রা এসে সব শুনে দুঃখপ্রকাশ করেন। সে জন্য আমরা অভিযোগ করিনি। তবে কলকাতায় ফিরে করতেও পারি।”
এমন বিভ্রাট হল কেন?
উত্তর-পূর্ব রেলের জনসংযোগ বিভাগের এক অফিসার জানান, দু’বছর আগে পর্যন্ত গরিবরথ এক্সপ্রেস-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনে ‘সাইড-মিডল বার্থ’ ছিল। সে জন্য ওই সব কামরায় আসন সংখ্যা ৭২ থেকে বেড়ে ৭৮ হয়ে যায়। কিন্তু যাত্রীদের তরফে ‘সাইড-মিড্ল বার্থে’ নানা হয়রানি হচ্ছে বলে অভিযোগে মামলা হয়। তার পরে ওই বার্থ তুলে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়। অধিকাংশ ট্রেনেই সেই ‘সাইড মিডল বার্থ’ তুলে দিয়েছে রেলের বাণিজ্যিক বিভাগ। সেই সব কামরার টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে ৭২টির বেশি আসন দেওয়া না-হয়, সেই বার্তা আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুমে না-পৌঁছলে এমন বিভ্রাট হতে পারে বলে মত ওই রেল-অফিসারের।
কিছু দিন আগে গরিবরথ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পড়ায় কয়েকটি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই জায়গায় অন্য ট্রেনের কামরা জোড়া হয়েছে। সেগুলির বেশির ভাগই ৭২ আসন বিশিষ্ট। সেই তথ্যও বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে যথাসময়ে সংরক্ষণকেন্দ্রে না পৌঁছলে এমন হয়রানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে দাবি করেছে রেলের একটি সূত্র। সুব্রত হাজংয়ের দাবি, “রেলের সব বিভাগের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় রয়েছে। তবু এ ধরনের যাত্রী হয়রানি ঠেকাতে যা করণীয় তা করা হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.