|
|
|
|
অর্থের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উন্নয়নে অনাগ্রহী বিধায়করা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
দুর্নীতি ঠেকাতে নীতীশ কুমার গত বছর বিধায়ক তহবিলের বদলে চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর নামে এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প- ‘চিফ মিনিস্টার্স এরিয়া ডেভলপমেন্ট স্কিম’। এই প্রকল্পের তহবিলে গত বাজেটে ৩২৫ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এমনই যে আর্থিক বছর শেষের মুখে এসে এই প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকারও কাজ হয়নি। ফলে নিয়ম অনুয়াযী তহবিলের অর্থ ফেরত যাওয়ার কথা। পরবর্তী বাজেটে এই খরচ না হওয়া টাকা বরাদ্দের সংস্থান যদি রাখা থাকে তবেই তা আগামী অর্থ বর্ষের তহবিলের সঙ্গে যোগ করা যাবে।
গত বছর, ক্ষমতায় এসেই নীতীশ কুমার বিধায়ক প্রকল্প বন্ধ করে নয়া প্রকল্প চালু করেন। নিয়ম অনুযায়ী, এই তহবিল থেকে প্রতি বিধায়ক বছরে ১ কোটি টাকা খরচ করতে পারবে। তবে সরাসরি টাকা তাঁরা পাবেন না। তাঁদের নিজের নিজের এলাকার জন্য প্রকল্প জমা দিতে হবে। এই অর্থে সেই প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করা হবে। এর জন্য প্রতিটি জেলায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের চেয়ারম্যান করে বিধায়কদের নিয়ে কমিটি তৈরি হয়। সরকার ঠিক করে প্রকল্পের কাজে স্থানীয় স্তরে ইঞ্জিনিয়ার নেওয়া হবে। এর জন্য একটি সংস্থাও তৈরি হয়। যার নাম দেওয়া হয়, ‘লোকাল এরিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অর্গানাইজেশন’। স্থানীয় এলাকায় বিধায়ক তহবিলের টাকায় কাজ করার কথা এই ইঞ্জিনিয়ারদের। তার জন্য ১৮০০ লোক নিয়োগের কথাও ছিল। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮০০ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু যাঁদের এলাকার উন্নয়নে এই প্রকল্প সেই বিধায়করা বরাদ্দ অর্থের উপর তাঁদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই উন্নয়ন প্রকল্পে আগ্রহ হারিয়েছেন বলে সরকারেরই একাংশ মনে করছে।
প্রথম বছরেই প্রকল্পে এই ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে সরকারি স্তরে কেউ মুখ না খুললেও পরিকল্পনা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, সরকার কিন্তু অনেক ভেবে চিন্তে এই প্রকল্পটি চালু করেছে। এই প্রকল্পে বিধায়করা নিজেদের এলাকা উন্নয়নে পাঁচ বছরে অনেক কাজের সুযোগ পাবেন। প্রথম বছরে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। আগামী দিনে নিশ্চয়ই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সচিবালয় সূত্রে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তিত নন। মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পনা দফতরকে জানিয়েছেন, পুরো টাকা খরচ না হলেও রাজ্যের উন্নয়নে কোনও সমস্যা হবে না। তবে এই টাকা খরচের ব্যাপারে আগামী বছরে সঠিক পরিকল্পনা করে পা ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|