|
|
|
|
| |
| সেনা-সরকার বিবাদ |
| ব্লগে কেন্দ্রকে কটাক্ষ আডবাণীর |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সেনা-সরকার বিবাদে এ বার মনমোহন সিংহ সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী।
নিজের ব্লগে ‘সেনা-মার্চে’র প্রসঙ্গ উত্থাপন করে আজ আডবাণী বোঝাতে চান, সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর আস্থার ঘাটতির জন্যই এমন আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ১৯৮৯ সালের ঘটনাও টেনে  আনেন তিনি। নির্বাচনে রাজীব গাঁধীর পরাজয়ের পর লোকসভা ভঙ্গের আগে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুটা সিংহ সেনা ডাকার চেষ্টা করেছিলেন। বুটা সিংহের সেই প্রচেষ্টারও সমালোচনা করেন তিনি। সেনা ও সরকারের মধ্যে বিবাদের ফলে পাছে সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পড়ে ও আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে ভুল বার্তা যায়, তার জন্য বিজেপি ‘দায়িত্বশীল’ বিরোধী দল হিসাবে ‘সংযত’ ভূমিকাই পালন করেছে বলে মনে করছেন আডবাণী। বলবীর পুঞ্জের মতো দলের নেতারা যখন এ কে অ্যান্টনির ইস্তফা চেয়ে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমেছিলেন, সেই সময় তাঁকেও নিরস্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাতেও আডবাণী জানান, বিজেপি এমন কোনও পদক্ষেপ করবে না, যাতে দেশে কোনও রকম অস্থিরতা তৈরি হয়। আডবাণীর পরামর্শে দলের মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ তারপর সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “সেনা-মার্চের ঘটনা সরকার যখন অস্বীকার করছে, তখন আমরা আস্বস্ত হচ্ছি।” সেনা ও সরকারের মধ্যে আস্থার যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তার ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে করছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আর না বাড়াতে চাইলেও, কেন্দ্রের সমালোচনার অবস্থান থেকেও সরে আসতে চাইছে না তারা। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “দুটি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। সেনা-মার্চ নিয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য নেই। কিন্তু সেনাপ্রধানের কাছে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ও এত দিন ধরেও সেই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার মতো ঘটনা, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনায় স্বচ্ছতার অভাবের খবর, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতার মতো বিষয়গুলিকেও তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেনা ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় ও পারস্পরিক আস্থা যদি
অটুট থাকত, তাহলে এমন ঘটত না। সেই আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে না
পারার ব্যর্থতা তো সরকারের রয়েইছে। সে কারণে আডবাণীও সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।” |
|
|
 |
|
|
