বেশির ভাগ অফিসকাছারিতে ছুটি থাকায় শুক্রবার ট্রেনে ভিড় ছিল কম। আর মহিলাদের কামরায় ছিল না পুলিশও। এই সুযোগে খাস কলকাতাতেই ভরসন্ধ্যায় একটি লোকাল ট্রেনে লুঠপাট করে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার পার্ক সার্কাস এবং বালিগঞ্জ স্টেশনের মধ্যে লুঠপাটের ঘটনাটি ঘটে বজবজগামী লোকালের একটি মহিলা কামরাতেই। ডাকাতির পরে যাত্রী-বিক্ষোভ, অবরোধ সবই হয়েছে। কিন্তু লোকাল ট্রেনে নিরাপত্তা নিয়ে মহিলাদের সংশয় কাটেনি।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা সওয়া ৭টা নাগাদ পার্ক সার্কাস স্টেশন থেকে ৪-৫ জন দুষ্কৃতীর একটি দল বজবজগামী লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরায় ওঠে। ছুরি, ব্লেড দিয়ে মহিলাদের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা লুঠ করা হয়। অনেক মহিলা কান্নাকাটি শুরু করে দেন। তার পরে ট্রেনটি বালিগঞ্জ স্টেশনে ঢোকার আগেই চলন্ত লোকাল থেকে নেমে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশি সূত্রের খবর, অন্তত সাতটি মোবাইল ফোন এবং নগদ আট হাজার টাকা লুঠ হয়েছে।
ট্রেনটি বালিগঞ্জ স্টেশনে থামার পরে মহিলা যাত্রীরা নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রেললাইন অবরোধ করা হয়। মিনিট পনেরো অবরোধ চলে। তার পরে পুলিশ অবরোধ সরিয়ে দেয়। রেল পুলিশের ডিজি দিলীপ মিত্র বলেন, “ঘটনার পরেই পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তদন্তও শুরু হয়েছে।” পুলিশের সন্দেহ, দুষ্কৃতীদের সংগঠিত একটি চক্র এই লুঠপাটে জড়িত। চক্রটি শুধু বজবজ শাখা নয়, শিয়ালদহের অন্যান্য শাখাতেও সক্রিয়।
যাত্রীরা জানান, বিভিন্ন অফিসকাছারিতে এ দিন ছুটি থাকায় ট্রেনে যাত্রী-সংখ্যা কম ছিল। তাঁদের অভিযোগ, মহিলা কামরায় নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কোনও পুলিশকর্মীরই দেখা মেলেনি।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী বলেন, “মহিলা কামরায় নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার জি সি অগ্রবাল রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিন থেকেই তা হয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে।” একই সঙ্গে পার্ক সার্কাস, বালিগঞ্জ-সহ শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখার কয়েকটি স্টেশনে আরপিএফ টহল শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। |