সন্ধ্যায় বালিগঞ্জের কাছে ট্রেনে লুঠপাটের পরেই রাতে বাড়িতে ডাকাতি হরিদেবপুরে। গৃহকর্তার ‘দুর্ঘটনায় পড়া’র খবর দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। তার পরে বৃদ্ধ গৃহকর্ত্রীকে মারধর করে টাকা ও গয়না লুঠ করে তারা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের কালীপদ মুখার্জি রোডে।
পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দু’টি যুবক মোটরবাইকে চড়ে দেবব্রত গুহ সরকার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে যায়। তারা দেবব্রতবাবুর বৃদ্ধ স্ত্রীকে জানায়, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তাঁর স্বামী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারা বৃদ্ধার ছেলের মোবাইলের নম্বর চায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই বৃদ্ধা ফোন নম্বর আনার জন্য ভিতরের ঘরে ঢুকতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর উপরে হামলা চালায়। ছুরি দেখিয়ে নগদ লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না এবং প্রায় ৫০ হাজার টাকা লুঠ করে তারা। বৃদ্ধাকে মারধরও করে দুষ্কৃতীরা। পরে মোটরবাইকে চেপেই পালিয়ে যায়।
বৃ্দ্ধাকে স্থানীয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হরিদেবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত ঢিলেঢালা। রাত সাড়ে ৮টায় লুঠপাঠ চালিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ তাদের হদিস পায়নি।
তিন দুষ্কৃতী ধৃত: এ দিনই সন্ধ্যায় পুলিশ সেজে টাকা চাওয়ার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার মুকুন্দপুরে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম গোপাল পাল, পালান সাঁপুই এবং রিঙ্কা সাঁপুই। তারা ওই এলাকারই বাসিন্দা।
পুলিশি সূত্রের খবর, জ্যোতি শর্মা নামে এক মহিলা মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ দিন তাঁর দুই পরিচিত হাসপাতালে যান। অভিযোগ, হাসপাতালের বাইরে ৪-৫ জন লোক পুলিশ বলে নিজেদের পরিচয় দেয়। হাসপাতালে আসা ওই দু’জনের কাছে টাকা চায় তারা। নইলে কিডনি পাচারের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে বলেও হুমকি দেয়। তাঁদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে। হুমকি এবং টাকা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলার সময়েই টহলদার পুলিশকর্মীরা ওই দুষ্কৃতীদের দেখতে পান। পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া করে তিন জনকে ধরে। বাকিরা পালায়। তাদের খোঁজ চলছে। |