নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে এ বার কিষান ক্রেডিট কার্ডে নেওয়া ঋণ ও অন্যান্য লেনদেনের খরচ মেটানোর সুবিধা মিলতে পারে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই। কৃষকদের এই পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে নাবার্ডের পূর্বাঞ্চল শাখা। সম্প্রতি নাবার্ডের চিফ জেনারেল ম্যানেজার এস পদ্মনাভন বলেন, “তামিলনাডুর একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এই পরিষেবা চালু করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও তা চালু করতে চাই। প্রথমে কিছু অঞ্চলে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হবে। সফল হলে তা সম্প্রসারিত হবে।”
পশ্চিমবঙ্গে ২০১২-’১৩ সালে নাবার্ড কৃষি ক্ষেত্রে ২৩,৫০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। মোট ঋণের লক্ষমাত্রা ধার্য হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। গত আর্থিক বছরে বছরে নাবার্ড মোট ৩৪,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০,৫০০ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ঋণের ৫৭ শতাংশ দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান পদ্মনাভন।
এ দিকে সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তা না-মেটালেও বন্ধকী জমি নিলাম নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আইন তৈরির জন্য রাজ্য সরকার কোনও বিল আনলে তা খতিয়ে দেখবে নাবার্ড। পদ্মনাভন বলেন, সমবায় ব্যাঙ্কঋণ দেওয়া এবং তা আদায় করা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে নাবার্ড, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি রয়েছে। তার ভিত্তিতেই সমবায় ব্যাঙ্কগুলি টাকা পায়। কোনও বিল এলে ওই চুক্তিভঙ্গ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে নাবার্ড। সমবায় ব্যাঙ্ককে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়ার জন্য বৈদ্যনাথন কমিটির সুপরারিশ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পদ্মনাভন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে কোনও কৃষক ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারলেও ঋণের টাকা আদায় করার জন্য বন্ধকী জমি নিলাম করতে পারবে না সমবায় ব্যাঙ্ক।
তাঁতিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ পুনর্গঠন এবং আর্থিক সহায়তা প্রকল্পও রূপায়ণ করছে নাবার্ড। যে-সব তাঁতি ব্যাঙ্কঋণ শোধ করতে পারেননি, তাঁদের এই তহবিল থেকে অর্থ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ঋণের মূল টাকার ১০০% দেওয়া হবে, সুদের জন্য ২৫%। গত ২০১০-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত যে-সব ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়েছে, সেগুলিই এর আওতায় আসবে। সহায়তার সর্বোচ্চ সীমা ৫০ হাজার টাকা। |