চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের ভারসাম্য না থাকাতেই এ বার আলুর দাম যে লাগামছাড়া সে কথা কবুল করলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। তবে, দাম বাড়ার পিছনে ফড়েদের ভূমিকাও তিনি উড়িয়ে দেননি।
চলতি মরসুমে আলুর দর বাড়ার প্রধান কারণ কম উৎপাদন। গত কয়েকটি মরসুমে আলুর দাম না পেয়ে চাষিরা এ বার কম জমিতে আলু চাষ করেছেন। ধসা রোগে জ্যোতি এবং চন্দ্রমুখী আলুর চাষ মার খেয়েছে। এ রাজ্য পঞ্জাব, অসম ও অন্ধ্রে আলু জোগান দেয়। চলতি মরসুমে বৃষ্টির জন্য পঞ্জাবে আলুর ফলন ব্যাপক মার খেয়েছে। তার জেরে ওই রাজ্যে প্রচুর আলু যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। সব মিলিয়ে এ রাজ্যে আলুর ভাঁড়ারে টান পড়েছে। কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের খবর, গত বছর রাজ্যে আলু হয়েছিল ১ কোটি ২০ লক্ষ টন। এ বার ৮৫ লক্ষ টন। এ বছর ৩৫ লক্ষ টন উৎপাদন কম। মূলত এই কারণেই এ বার আলুর দাম এত বেড়েছে বলে জানান অরূপবাবু।
চড়া বাজারের সুযোগ নিতে তৎপর মজুতদারদের ঠেকাতে শুক্রবার ময়দানে নামেন মন্ত্রী স্বয়ং। দফতরের কর্তাদের নিয়ে হাওড়ার সালকিয়ার হরগঞ্জবাজারে এ দিন আচমকা অভিযান চালান মন্ত্রী। ওই বাজারে প্রচুর পরিমাণ আলুর বেআইনি মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিপণন দফতরের কর্তারা। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীরা সরকারি নিয়মই জানেন না বলে বিস্ময় প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “জেলার নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে লাইসেন্স নিয়ে, সরকারকে লেভি দিয়ে তবেই যে আলু মজুত করা যায়, সে বিষয়টি কোনও ব্যবসায়ী জানেন না। আসলে এই কাজে আমাদের দফতরের কর্মীদের গাফিলতির বিষয়টিও আমার নজরে এসেছে। আলুর মজুতদারি রুখতে দীর্ঘদিন আগেই সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের কাছে সেই নির্দেশিকা জানানো হয়নি।”আলুর দাম বাড়ায় ফড়েদেরও ভূমিকা আছে বলে কৃষি বিপণন মন্ত্রীর অভিমত। |