ছাত্র রাজনীতির নাম করে নানা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নৈরাজ্য’ কায়েমের চেষ্টা রুখে সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরানোটাই এখন রাজ্য সরকারের কাছে বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ বলে জানালেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার মালদহে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের দ্বারোঘাটন ও নতুন কলাভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের শিলান্যাস করতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি। তবে ওই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা কী ভাবে করবে তাঁর দফতর, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট রূপরেখা দিতে পারেননি ব্রাত্যবাবু। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি কয়েকটি মহল থেকে উঠলেও তা নিয়ে ফতোয়া দেওয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি অবশ্য বলেন, “ছাত্র রাজনীতির নামে নৈরাজ্য বরদাস্ত করবে না সরকার। ৩৪ বছরে বাম আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে যে অবনমন হয়েছিল সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আমরা তা তুলে আনার চেষ্টা করছি। এটাই আমাদের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ।” |
পাশাপাশি, তিনি জানান ছাত্রদের রাজনীতি করার অধিকার কাড়ার ফতোয়া দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “কলেজ, বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রাজনীতি করা যাবে না, এই ফতোয়া আমি দিতে পারব না। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কে রাজনীতি করবে, কে করবে না, সেটা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার।” কিন্তু কলেজে কলেজে দলীয় রাজকীতির দাপট কী ভাবো ঠেকানো যাবে, তার কোনও দাওয়াই বাতলাতে পারেননি মন্ত্রী। তার পরেই ছাত্রছাত্রীর প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শ, “পড়াশুনা করুন, তার সঙ্গে আড্ডাও দিন।” একইসঙ্গে চলতি বছরের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ দিন অনুষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রীর সামনে নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র মালদহ জেলার মানিকচক, মোথাবাড়ি, সুজাপুর, হবিবপুরে কলেজ গড়ার দাবি তোলেন। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কলেজ চাই বললে হয় না। এর জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কলেজের জন্য জমি চিহ্নিত করতে হবে, ট্রাস্ট গড়তে হবে। শুধু ভাষণে বললে চলবে না। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে একটি করে কলেজ তৈরি করা হবে। সে জন্য রাজ্যের ৩৪১ টি ব্লকে কোথায় কলেজ দরকার, কোথায় কলেজ হলে সেই ব্লকের মানুষ উপকৃত হবে তা সমীক্ষা করার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের বিজ্ঞান প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আবু নাসের খান চৌধুরী, কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর, বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। মালদহে। |