কীর্তনের আসর থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক বধূকে গনধর্ষণ করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি কাশীপুর থানা এলাকার। বৃহস্পতিবার ওই বধূ কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিনই পুলিশ তিন যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতরা হল গোবিন্দ মাহাতো, কৃষ্ণপদ মাহাতো ও রাজীব মাহাতো। তিনজনেরই বাড়ি কাশীপুর থানার কালিদহ গ্রামে। তবে অপর এক অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারেনি। ধৃতদের এ দিন রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের দু’দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালে অভিযোগকারিনীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমান মিলেছে। রঘুনাথপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। গ্রামে গিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পলাতক থাকায় তাকে ধরা যায়নি”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মঙ্গলবারের। সে দিন রাত ১০টা নাগাদ কালিদহ গ্রামের কীর্তনের আসর থেকে গান শুনে আরও দুঅ মহিলার সঙ্গে ওই বধূ বাড়ি ফিরছিলেন। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই বধূর অভিযোগ, “রাস্তায় চার যুবক আমাদের আটকায়। সঙ্গী বাকি দুই মহিলা পালিয়ে যান। ওই যুবকেরা আমার গলা থেকে সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে গণধর্ষণ করে।” তিনি জানান, তিনি কোনওক্রমে বাড়ি ফেরেন। ঘটনার পরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় তিনি পরের দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেননি। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন তিনি কাশীপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশের কাছে তিনি জানান, ওই যুবকেরা জোর করে তাঁকে রাস্তার পাশে ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বধূটি তাঁদের চিনে ফেলেন। অনুরোধ করার পরেও তারা ছাড়েনি। ফাঁকা রাস্তায় চিৎকার করেও কাজ হয়নি। তদন্তে নেমে পুলিশ তিন জনকে ধরতে পারলেও অন্য এক জন পালিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের সকলেই ২৪-২৬ বছরের মধ্যে। সকলেই পেশায় দিনমজুর। আদালত চত্বরে অভিযুক্তেরা দাবি করেছে, তাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।. |