|
|
|
|
পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে আতঙ্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গাইঘাটা |
পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য তো রয়েছেই। তার উপরে পর পর কয়েকটি চুরির ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সীমান্তবর্তী বর্ণবেড়িয়া এবং সংলগ্ন এলাকায়। রাতে গরমের সময়ে কেউ জানলা খুলে রাখতে সাহস করছেন না। কেননা, খোলা জানলা থেকে দুষ্কৃতীরা বিশেষ কিছু স্প্রে করে সকলকে তন্দ্রাচ্ছন্ন করে চুরি করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান। একই অনুমান পুলিশেরও।
পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে ঘটনাগুলি ঘটছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা যাবে। এ ব্যাপারে বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ মার্চ স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল সরকার রাতে পরিবারের সকলকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পরেই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তার ঘর থেকে চুরি হয়ে যায় নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং সোনার গয়না। নির্মলবাবু-সহ তাঁর পরিবারের তিন জনকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দিন কয়েক আগে একই ভাবে ওই এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী দেবদাস হালদারের বাড়ির লোকেরা রাতে খাওয়ার পরে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তাঁর বাড়ির কোলাপসিবল গেট ভেঙে ঢুকে দুষ্কৃতীরা গয়না ও টাকা নিয়ে যায়। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কালিদাস রায় পরিবারের সকলের সঙ্গে খেতে বসেছিলেন। তাঁর ঘরের জানলা খোলা ছিল। সেই সময়ে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা এক জনকে বাইরে থেকে জানলা দিয়ে স্প্রে করার চেষ্টা করতে দেখে প্রহরারত বিএসএফ জওয়ানরা তাড়া করেন। এ ক্ষেত্রেও চুরিই উদ্দেশ্য ছিল বলে পুলিশের অনুমান।
সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রায়ই ওই এলাকা দিয়ে পাচার হয় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরাও যাতায়াত করে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এই চুরির ঘটনাগুলিতেও ওই দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে গ্রামবাসীদের অনুমান। সন্ধ্যার পরে রাস্তায় বেরনো কার্যত বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। ঘুম উবে গিয়েছে অনেকের। সংশ্লিষ্ট ঝাউডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়গোপাল দলপতি বলেন, “এলাকার মানুষ খুবই আতঙ্কে রয়েছেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সকলকে সচেতন করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|