|
|
|
|
উড়ালপুলের জন্য এলাকা পরিদর্শন রেলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা |
হাবরায় যশোহর রোডে রেললাইনের উপর দু’টি উড়ালপুল তৈরির জন্য এলাকা পরিদর্শন করলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং রেলের পদস্থ কর্তারা। বৃহস্পতিবার তাঁরা হাবরার ১ এবং ২ নম্বর রেলগেট এলাকা ঘুরে দেখেন। এর পর হাবরা পুরসভায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়। হাবরা পুরসভা সূত্রের খবর, উড়ালপুলের পাশাপাশি দু’টি আন্ডারপাসও তৈরি হওয়ার কথা। জাতীয় সড়ক এবং রেল যৌথ ভাবে এই কাজ করবে। কিন্তু এই কাজের জন্য কত টাকা লাগবে বা উড়ালপুলটি কতটা লম্বা হবে তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। হাবরা পুরসভার চেয়ারম্যান তপতী দত্ত বলেন, “সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৭ এপ্রিল ওই প্রকল্পের জন্য জমি চিহ্নিতকরণ হবে। সেই মতো ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় ইতিমধ্যেই ৩২টি দোকানঘর ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছে।” জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, হাবরার পাশাপাশি অশোকনগরেও একটি উড়ালপুল হওয়ার কথা আছে।
যানজট হাবরা শহরের দীর্ঘদিনের সমস্যা। ২ নম্বর রেলগেট থেকে চোংদা মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। তাই হাবরায় উড়ালপুলের দাবি দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বিধায়ক ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “নির্বাচনের সময় আমরা উড়ালপুল তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীও হাবরার যানজট নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। হাবরার যানজটের জন্য বারাসত থেকে বনগাঁ যেতে এক ঘণ্টা বেশি সময় লাগে। সে জন্য উড়ালপুলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। উড়ালপুল দু’টো তৈরি হয়ে গেলে যানজট সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।” মন্ত্রী জানান, দু’টো উড়ালপুল তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৩২ কোটি টাকা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং রেল ১৬ কোটি করে দেবে। প্রকল্পের জন্য যশোহর রোডের দু’ধারে যাঁদের দোকানঘর ভাঙা পড়ছে তাঁদের প্রস্তাবিত ‘হকার জোন’এ পুনর্বাসন দেওয়া হবে। হকার মার্কেটের জন্য জমিও চিহ্নিত হয়েছে বলে জানান জ্যোতিপ্রিয়বাবু। সেখানে প্রায় চারশোটি দোকানঘর হবে। মন্ত্রী বলেন, “হকার মার্কেটের জন্য মোট খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। ৬২ লক্ষ টাকা রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে বরাদ্দ করেছে। শীঘ্রই অর্থমন্ত্রী এবং পুরমন্ত্রীকে দিয়ে নির্মাণ কাজের সূচনা হবে।” |
|
|
|
|
|